নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: করোনাকালীন সময়ে ব্লিচিং পাউডার (ক্যালসিয়াম ক্লোরো হাইপোক্লোরাইট) সবচেয়ে পরিচিত এবং সহজলভ্য জীবানুনাশক। কিন্তু অনেকের মনে হতে পারে, ব্লিচিং পাউডারের সাথে অন্য যেকোন পরিষ্কারক (ডেটল,স্যাভলন)কিংবা জীবানুনাশক (স্যানিটাইজার) মিশিয়ে নিলে এর শক্তি বাড়তে পারে। হয়ত আরো বেশি জীবানু ধ্বংস হবে। এই ক্রান্তিলগ্নে এটা একেবারেই স্বাভাবিক একটি চিন্তা।

ব্লিচিং পাউডারের সাথে ডেটল বা স্যাভলন মেশালে হতে পারে মারাত্বক ক্ষতি। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ফেসবুক পেইজে এ বিষয়ে সতর্কতামূলক তথ্য প্রকাশ করেছে।

ব্লিচিং পাউডারের সাথে যে কোন পরিষ্কারক বা জীবানুনাশক মেশালে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাস উৎপন্ন হয়। আর ক্লোরিন গ্যাস যা মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই চোখ, ন্যাজাল প্যাসাজ (নাক) এবং ফুসফুসকে মারত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কেউ যদি মাত্র ৩০ সেকেন্ডও এই গ্যাস নিশ্বাসের সাথে গ্রহণ করে তবে তার ফুসফুস স্বাভাবিক হতে ৭-৮ ঘন্টা সময় লাগবে। এই বিষাক্ত গ্যাস ফুসফুসে ঢোকার সাথে ফুসফুস মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং অক্সিজেন নেয়া বন্ধ করে দিবে। এমনকি ভিনেগার (সিরকা) ও মেশানো যাবেনা ব্লিচিং পাউডারের সাথে।

 বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর স্বল্প পরিসরে কয়েকটি বিক্রিয়া উল্লেখ করেছে। যাতে বলা হযেছে-

১। ব্লিচিং পাউডার + সেনিটাইজার (Rubbing alcohol) = বিষাক্ত ক্লোরোফরম

২। ব্লিচিং পাউডার + ভিনেগার = বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাস

৩। ব্লিচিং পাউডার + গ্লাস ক্লিনার (Ammonia) = ক্লোরো-অ্যামিন ( যার জন্য শ্বাসকষ্ট ও বুকব্যথা হতে পারে)

৪। হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড + ভিনেগার = পার-অক্সি-এসিটিক এসিড (ক্ষয়কারক)

৫। ব্লিচিং পাউডার + হারপিক = বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাস

বড় রকমের দূর্ঘটনা এড়াতে এবং জনসাধারণকে সচেতন করতে এ সতর্কতামূলক তথ্য প্রকাশ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।