নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: শারদীয় দুর্গা পূজার ছুটিতে বাড়তি পেঁয়াজ আমদানি করলেও ক্রেতা সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা তলনিতে এবং বাইরে থেকে পাইকার না আসায় গুদামেই পচে নষ্ট হচ্ছে পেঁয়াজ।
ভালো মানের কিছু ৮-১০ টাকা দরে বিক্রি করলেও অনেক পেঁয়াজ ফেলে দিতে হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন আমদানিকারকরা।
হিলিতে পেঁয়াজ কিনতে আসা জাহাঙ্গির আলম বলেন, শুনলাম হিলিতে নাকি দাম কম, তাই পার্শ্ববর্তী বিরামপুর উপজেলা থেকে হিলি স্থলবন্দরে এসেছি পেঁয়াজ কিনতে। আড়তে বেছে পাঁচ বস্তা পেঁয়াজ ক্রয় করেছি ৮ টাকা কেজি দরে। এগুলো বাড়িতে নিয়ে বাছাই করে ভালো মানের পেঁয়াজগুলো হাটে বিক্রি করব। তাতে খরচ বাদ দিয়ে আমাদের কিছু লাভ হবে।
পড়তে পারেন: ৫ বছরের সর্বনিন্মে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম
পেঁয়াজ কিনতে আসা মিরাজুল ইসলাম বলেন, হিলির বিভিন্ন আমদানিকারকের গুদামে গরমে পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়েছে। প্রতি বস্তা ১০০-২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে শুনে আমি কিনতে এসেছি। ৪০০ টাকা দিয়ে দুই বস্তা ক্রয় করেছি। এগুলো বাসায় নিয়ে পচা পেঁয়াজগুলো ফেলে দিয়ে ভালোগুলো খাওয়ার জন্য রেখে দেব। যেহেতু বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজ ২০ টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক হারুন উর রশীদ বলেন, শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা আটদিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে। যে কারণে বন্দর দিয়ে এ সময় কোনো পেঁয়াজ আমদানি হবে না। তাই দেশের বাজারে যে চাহিদা তৈরি হবে তার কথা চিন্তা করে ও পেঁয়াজ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বন্ধের আগে বন্দর দিয়ে বাড়তি পেঁয়াজ আমদানি করেন আমদানিকারকরা। কিন্তু দেশীয় পেঁয়াজের দাম কম থাকায় ও বন্ধের আগেই অধিকাংশ মোকামে পেঁয়াজ ক্রয় করার ফলে নতুন করে মোকামগুলোয় চাহিদা তেমন নেই।
পড়তে পারেন: ভারতীয় পচা পেঁয়াজ বাধ্যতামূলক করেছে টিসিবি, চটেছে ক্রেতা
তিনি আরো জানান, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব পাইকার হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসতেন তারা এখন আসছেন না। এতে বন্দরে পেঁয়াজের ক্রেতা সংকট তৈরি হয়ে বিক্রিতে ভাটা পড়েছে। তার মধ্যে প্রচণ্ড গরমে গুদামেই পেঁয়াজ পচে নষ্ট হচ্ছে। ঘন ঘন লোডশেডিং তা আরো বাড়িয়ে তুলেছে। এতে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকদের প্রায় ৫০০ টন পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে। এতে ওই সময় থেকে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ। তবে দুর্গা পূজা উপলক্ষে সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত বন্দরের ভেতরের কার্যক্রম চালু রয়েছে।
এগ্রিকেয়ার/এমএইচ
