অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক: ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করে বিপাকে ব্যবসায়ীরা। হিলি বন্দরে ক্রেতা সংকটের কারণে লোকসানের মুখে পড়েছেন বন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।

ভারত থেকে আমদানীকৃত অধিকাংশ পেঁয়াজ গুদামে নষ্ট হচ্ছে । ফলে বাধ্য হয়ে ১০ থেকে ১২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা দরে। ভালো মানের পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় খারাপ মানের পেঁয়াজ কম দামে কিনছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

পেঁয়াজ আমদানিকারক এমআর ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়তি দামে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছিল। এখন ক্রেতা সংকটের কারণে এগুলো গুদামে নষ্ট হচ্ছে। পূজার বন্ধের কারণে শেষ দিনে ভারত থেকে খারাপ পেঁয়াজ পাঠানো হয়।

দুর্গা পূজা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১১ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ ঘোষণা করেছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। বন্ধের শেষ দিনে ভারত থেকে ৪২টি ট্রাকে ১ হাজার ১৪৪ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। কিন্তু কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও বিক্রি না হওয়ায় আড়তে আটকে রয়েছে এসব পেঁয়াজ। ভারতীয় এসব নিম্নমানের পেঁয়াজ আটকে থাকার পাশাপাশি কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমের ফলে দ্রুতই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে এসব পেঁয়াজ।

পেঁয়াজ কিনতে আসা ব্যবসায়ী সিদ্দিক হোসেন জানান, ভালো মানের পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। খারাপ মানের পেঁয়াজ চলছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়, এ মানের ১ কেজি পেঁয়াজ থেকে বাছাই করে ২৫০ গ্রাম বা তার কিছু বেশি টিকবে। এটুকু দিয়েই লাভ করতে হবে। এসব পেঁয়াজের বেশির ভাগই ফেলে দিতে হবে।

এদিকে বন্ধের সময় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকবে, যে কারণে দাম বাড়তে পারে—এমন খবরে দেশের বিভিন্ন মোকামের পাইকাররা আগে থেকেই পেঁয়াজ কিনে রেখেছেন। যে কারণে এখন কোনো পেঁয়াজের ক্রেতা নেই। পোর্টে পেঁয়াজের বাজার যাচ্ছিল ৪২ থেকে ৪৫ টাকা, সেই পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকায়। তার পরও ক্রেতা নেই।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ