অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ভারতের খাতসংশ্লিষ্ট সংস্থা ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (ইসমা) তথ্য বলছে,চলতি বিপণন মৌসুমের প্রথম নয় মাসে (১ অক্টোবর-১৫ জুন) পণ্যটির উৎপাদন বেড়েছে ৩৫ লাখ ৫৪ হাজার টন।

আখ আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় পণ্যটির উৎপাদন বেড়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে পিটিআই।

ইসমার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বিপণন মৌসুমের ১ অক্টোবর থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ভারতে ৩ কোটি ৬ লাখ ৬৫ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছে, যেখানে আগের হিসাব বছরে একই সময়ে উৎপাদন ছিল ২ কোটি ৭১ লাখ ১১ হাজার টন। সেই হিসাবে পণ্যটির উৎপাদন বেড়েছে ১৩ শতাংশ।

চিনি উৎপাদন সবচেয়ে বেড়েছে মহারাষ্ট্রে । চলতি ২০২০-২১ বিপণন মৌসুমে রাজ্যটিতে পণ্যটি উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ ৮০ হাজার টনে, যেখানের আগের বছরের একই সময়ে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৬১ লাখ ৬৯ হাজার টন। এছাড়া কর্ণাটকেও এবার উৎপাদন বেড়েছে। রাজ্যটিতে ওই সময় পর্যন্ত ৪১ লাখ ৬৭ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছে, আগের মৌসুমের একই সময়ে যেখানে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩৩ লাখ ৮০ হাজার টন।

ভারতে এসময় পাঁচটি চিনিকলে মাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশে এবার চিনি উৎপাদন কমেছে। ১৫ জুন পর্যন্ত রাজ্যটিতে উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ৬১ হাজার টন, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে উৎপাদন ছিল ১ কোটি ২৬ লাখ ৩০ হাজার টন।

ইসমার তথ্য বলছে, ১৫ জুন পর্যন্ত দেশটি ৫৮ লাখ টন চিনির ক্রয়াদেশ পেয়েছে তারা, যেখানে সরকার নির্ধারিত রফতানি কোটা ৬০ লাখ টন। এর মধ্যে ৪৫ লাখ ৭৪ হাজার টন চিনির চালান এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট দেশে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এ মাসের মধ্যে আরো পাঁচ-ছয় লাখ টন চিনির চালান সংশ্লিষ্ট দেশের জন্য ছাড় করা হবে। এ হিসাবে এ মৌসুমে পণ্যটির রফতানির পরিমাণ আরো কয়েক গুণ বাড়বে।

এদিকে উৎপাদন ও রফতানি বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারতের স্থানীয় বাজারেও চিনির চাহিদা এবার বেড়েছে। ইসমা মনে করছে, আগামী সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া ২০২০-২১ বিপণন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজারে অতিরিক্ত ৮-১০ লাখ টন চিনি বিক্রি হবে। আর মৌসুম শেষে রফতানির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৭০ লাখ টনে, যা দেশটির চিনিকলগুলোর জন্য স্বস্তির কারণ। ফলে মৌসুম শেষে চিনির মজুদেও ভারসাম্য আসবে। গত মৌসুমের তুলনায় সেপ্টেম্বর শেষে এর পরিমাণ ২০-২৫ লাখ টন কম হবে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ