অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে গত ৮ মাসে ২৮৯ কোটি টাকার শুকনা মরিচ আমদানি করা হয়েছে। তবে, ভারতে বাড়ছে শুকনা মরিচের দাম। ফলে আমদানি কমে গেছে। দেশের বাজারে মসলা জাতীয় পণ্যটির দাম বাড়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

দেশটিতে শুকনা মরিচের দাম বাড়ার কারণে আমদানিতে নিম্নমুখিতা দেখা দিয়েছে। আমদানি নেমে এসেছে অর্ধেকে। আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে পণ্যটির দাম বাড়ায় আমদানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ কারণে পণ্যটি আমদানি থেকে সরকারের রাজস্ব আয় কমেছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা।

পড়তে পারেন: ভারতীয় পেঁয়াজের কেজিতে বাড়লো ১০ টাকা

ভোমরা স্থলবন্দরের মসলা পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, তার প্রতিষ্ঠানে নানা প্রকার মসলা পণ্য আমদানি করা হয়। এর মধ্যে শুকনা মরিচ অন্যতম। তিনি বলেন, অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছর শুকনা মরিচ আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশীয় বাজারে। দাম বাড়ার কারণে মূলত শুকনা মরিচের চাহিদা যেমন কমেছে, তেমনি আমদানির পরিমাণও কমে গেছে। তিনি বলেন, গত বছর প্রতি সপ্তাহে ২৫-৩০ ট্রাক শুকনা মরিচ আমদানি করতাম। সেখানে বর্তমান সপ্তাহে ১৫-২০ ট্রাক আমদানি করছি।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে এ বন্দর দিয়ে শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছে ২০ হাজার ৪৯৮ টন, যা গত অর্থবছরের প্রথম আট মাসের তুলনায় অন্তত ৪৫ শতাংশ কম। আমদানীকৃত এসব শুকনা মরিচের মূল্য ২৮৯ কোটি ৬ লাখ টাকা, যা থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

সূত্রটি আরো জানায়, গত অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছিল ৩৬ হাজার ৭০৩ টন, যার মূল্য ৫৩১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আমদানীকৃত মরিচ থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৫৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড়বাজারের পাইকারি মসলার আড়ত মেসার্স মামা-ভাগ্না ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী মো. জহুরুল হক জানান, দাম বাড়ার কারণে দেশীয় বাজারে আমদানীকৃত শুকনা মরিচের চাহিদা কমে গেছে। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে আমদানীকৃত শুকনা মরিচ প্রতি কেজি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২৭৫ থেকে ২৮০ টাকা দরে, যা গত বছরের একই সময় দাম ২৪০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার আমীর মামুন জানান, যেকোনো পণ্য আমদানি কম-বেশি হয় মূলত ব্যবসায়ীদের চাহিদার ওপর নির্ভর করে। গেল অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছর শুকনা মরিচ আমদানি কমেছে। অর্থবছরের প্রথম আট মাসে শুকনা মরিচ আমদানিতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৫৩ কোটি টাকার ওপরে। সেখানে চলতি অর্থবছর এ পণ্য থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ২৮ কোটি টাকা।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ