অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ভারতে রুপির বিনিময়মূল্য দুই মাসের শীর্ষে পৌঁছেছে। আর এ কারনেই দেশটিতে বেড়েছে চালের দাম।

সাম্প্রতিক সময়ে ইয়াসের প্রভাবে আবাদকৃত ধান ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলতি মৌসুমে চাল উৎপাদন হ্রাসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো।

বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারি সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে দেশ দুটির উপকূলীয় এলাকার হাজারো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দুই দেশে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান খান বলেন, আমরা ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর তথ্য সংগ্রহ করছি। সৌভাগ্যবশত, গ্রীষ্মকালীন ফসল সংগ্রহ এরই মধ্যে প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। এর পরও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সংবাদ মাধ্যম বিজনেস রেকর্ডারের প্রতিবেদনে বলা হয়, রুপির বিনিময়মূল্য দুই মাসের শীর্ষে পৌঁছেছে। মূলত এ কারণেই ভারতের ৫ শতাংশ ভাঙা সিদ্ধ চালের দাম বেড়ে টনপ্রতি ৩৮২-৩৮৮ ডলারে উন্নীত হয়েছে। গত সপ্তাহে খাদ্যপণ্যটির দাম ছিল টনপ্রতি ৩৭৯-৩৮৫ ডলার।

এদিকে থাইল্যান্ডেও ৫ শতাংশ ভাঙা সিদ্ধ চালের দাম বেড়েছে। খাদ্যপণ্যটির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়ে টনপ্রতি ৪৭৫-৪৫৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে দাম ছিল টনপ্রতি ৪৫৪-৪৭৫ ডলার। পণ্যবাহী কনটেইনারের ওপর শুল্ক আরোপ করায় পণ্যটির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ভিয়েতনামের ৫ শতাংশ ভাঙা সিদ্ধ চালের দাম তিন সপ্তাহ ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে। পণ্যটি টনপ্রতি ৪৯০-৪৯৫ ডলারে বিক্রি হচ্ছে।

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশের কাকিনাডা শহরের একজন চাল রফতানিকারক বলেন, বাজারে চালের চাহিদা অপরিবর্তনশীল রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সপ্তাহের শুরুতে কয়েকটি বন্দরে চাল পরিবহন ও বোঝাই কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, অস্বাভাবিক উচ্চতার জোয়ারে আবাদি জমিগুলো লবণাক্ত পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে বৃহৎ এলাকাজুড়ে আবাদি ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ