সীমান্তে চালের শতশত ট্রাক

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ভারত থেকে তিন মাসে ২৪১ কোটি টাকার চাল আমদানি হয়েছে বলে জানিয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর সংশ্লিষ্টরা।

স্থলবন্দর দিয়ে এই চালের পরিমাণ ৬৯ হাজার ৫৪৬ টন। আগস্ট থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এসব চাল আমদানি করা হয়। আমদানীকৃত চালের মূল্য ২৪১ কোটি ৮ লাখ টাকা। আমদানি থেকে সরকারের আয় এসেছে ৪১ কোটি টাকা। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চাল আমদানির অনুমতি আছে বলে জানান বন্দর।

বন্দরের তথ্য বলছে, মোট আমদানীকৃত চালের মধ্যে আগস্টে ৪ হাজার ৫০ টন, সেপ্টেম্বরে ৪৩ হাজার ৮৯০ ও ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২১ হাজার ৬০৬ টন আমদানি করা হয়।

ভোমরা বন্দরের সবচেয়ে বড় চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুন্দরবন এজেন্সির স্বত্বাধিকারী দীপঙ্কর কুমার ঘোষ জানান, তার প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন ১৩০-১৪০ ট্রাক চাল আমদানি করে। এসব চাল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চাল আমদানি করার অনুমতি আছে। ৩০ অক্টোবরের পর আর ভোমরা বন্দর দিয়ে চাল আমদানি করা যাবে না। এর আগে গত অর্থবছরের জানুয়ারি-এপ্রিল পর্যন্ত চাল আমদানির অনুমতি ছিল।

সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী জাহিদ হোসেন জানান, আমদানীকৃত মিনিকেট চাল বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৫৪ টাকা দরে। তবে দেশী মিনিকেটের বাজারদর ৫৬ টাকা। দেশী মিনিকেটের তুলনায় আমদানীকৃত চালের দাম কম। এছাড়া আমদানীকৃত মোটা স্বর্ণা জাতের প্রতি কেজি চাল ৪২ টাকা ও রত্না ৪৩-৪৪ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তবে কেজিতে ২-৩ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে দেশী মোটা চাল।

ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, দেশীয় চাহিদা মেটাতে সরকার তিন মাসের জন্য চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার আমদানিকারকরা ভোমরা বন্দর ব্যবহার করে চাল আমদানি করেন। তবে আমদানির সময়সীমা তিন মাসের চেয়ে আরো বেশি হলে ব্যবসায়ীরা আরো উপকৃত হবেন।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বে থাকা কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার আমীর মামুন জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চাল আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। এ সময়ের মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকার আমদানিকারকরা ভোমরা বন্দর দিয়ে চাল আমদানি করেছেন। চাল আমদানিতে সরকারের উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হচ্ছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ