কে জে এম আবদুল আউয়াল, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মরিচ গাছের পাতা কোঁকড়ানো রোগের ভুক্তভোগী হননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবেনা। এটি যন্ত্রণার একটি কারণও বটে। যারা মরিচের ভোক্তা তারাই মরিচের বোটা পচা ও পাতা পচা সম্পর্কে জানতে পারে। কিনে নিয়ে আসার পর যদি সেটি পরিষ্কার পরিছন্ন করে না রাখা হয় তাহলে বোটা ও মরিচ পচে যায়। জেনে নিন মরিচের বোটা ও পাতা পচা রোগের সমাধান সম্পর্কে-

মরিচের বোটা ও পাতা পচা রোগের সমাধান শিরোনামের বিষয়টি এগ্রিকেয়ার২৪.কম এর আলোচনা করেছেন রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কে জে এম আবদুল আউয়াল।

রোগের লক্ষণ
এ রোগটি বাগানে হয়ে থাকে। এটি একটি মারাত্মক রোগ। কম নিষ্কাশনযুক্ত ভিজা মাটিতে এ রোগ হয়ে থাকে। বীজ বপনের পর বীজই পঁচে যেতে পারে অথবা চারা মাটি থেকে উঠার আগেই মারা যেতে পারে। বীজ অংকুরোদগমের পরেই কচি চারার গোড়ায় পানিভেজা দাগ পড়ে ও পরে কুঁচকে গিয়ে চারা ঢলে পড়ে ও মারা যায়। মারাত্মক আকারে আক্রান্ত হলে বাগানের সব গাছ ২-৪ দিনের মধ্যে মরে যেতে পারে।

মরিচের বোটা ও পাতা পঁচা রোগের সমাধান:
সাধারণত জৈষ্ঠের মাঝামাঝি থেকে শ্রাবনের মাঝামাঝি গাছের পাতায় অসংখ্য ছোটো ছোটো বাদামী দাগ দেখা যায়। ওই দাগ ক্রমশ বড় হতে থাকে এবং পরস্পর জুড়ে গিয়ে বড় বাদামী পচা অংশের সৃষ্টি করে।

সুনিষ্কাশিত উঁচু বীজতলা তৈরি করতে হবে। বীজ বপনের ২ সপ্তাহ আগে ফরমালডিহাইড দ্বারা বীজতলা শোধন করতে হবে। ট্রাইগোডারমা দ্বারা বীজ শোধন করে বপন করতে হবে। প্রোভেক্স-২০০ অথবা রিডোমিল গোল্ড (প্রতি কেজি বীজে ২.৫ গ্রাম) দ্বারা শোধন করে বীজ বপন করতে হবে। বীজ ৫২০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় গরম পানিতে ৩০ মিনিট রেখে শোধন করে নিয়ে বপন করতে হবে। কিউপ্রাভিট অথবা ব্যভিস্টিন প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে আক্রান্ত গাছের গোড়ার মাটিতে করতে হবে।
কার্বেন্ডাজিম জাতীয় ছত্রাকনাশক (যেমন- নোইন অথবা এইমকোজিম ২০ গ্রাম) প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে ১২-১৫ দিন পর পর ২-৩ বার ভালভাবে স্প্রে করতে হবে । ছত্রাকনাশক স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ