ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মাঠের সমস্যা কৃষকদের আগে কৃষি কর্মকর্তাদের অবগত হওয়াসহ কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সমুহ যথাসময়ে কৃষকের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) সৈয়দ আহম্মদ।

সম্প্রতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই) যশোর ট্রেনিং হলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চল আয়োজিত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময়ের সময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

অতিরিক্ত সচিব সৈযদ আহম্মদ বলেন, কৃষির সাথে আমাদের মা-বোন জড়িত হওয়ায় তাদের জড়তা কেটেছে এবং তাদের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক কৃষি উৎপাদন বেড়েছে। দেশের প্রতিটি বাড়িতে সবজি ও ফল উৎপাদন করে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে হবে।

তিনি দেশের কৃষির সম্ভবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে প্রতিটি বাড়ির  প্রতি ইঞ্চি জমি ব্যবহার করে দেশের সব মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, আমাদের সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যেতে হবে। ভাসমান কৃষি প্রযুক্তির কথা উল্লেখ করে এ বক্তা বলেন, দক্ষিণে কৃষিতে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। ফল ও সব্জির উৎপাদন বাড়িয়ে আমাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে হবে।

মাটির স্বাস্থ্য ঠিক রেখে কৃষি উৎপাদন আরো বাড়াতে হবে। যশোর অঞ্চলের ফুল চাষকে এগিয়ে নেয়া এবং ফুল যাতে পঁচে না যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে।

মত বিনিময়ের শুরুতে কী নোট উপস্থাপন করেন, ডিএই যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ চন্ডীদাস কুন্ডু। এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষে আমাদের সকল জনগোষ্ঠিকে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি জানান, কৃষি পণ্যের সুষ্ঠ বাজারজাত করণের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পাওয়ার জন্য কৃষকদের সহায়তা করতে হবে।

মত বিনিময় সভায় যশোর অঞ্চলের ৬টি জেলার ৩১টি উপজেলার ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ কৃষি সংশ্লিষ্ঠ বিভাগ সমুহের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে অতিরিক্ত সচিব মনিরামপুর উপজেলার ভোজগাতি ইউনিয়নের তুনিয়াঘরা গ্রামে কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচীর আওতায় নেরিকা জাতের ক্লাস্টার আকারে চাষকৃত ৩০ বিঘা রোপা আউশ ধানের ক্ষেত পরিদর্শন করেন।

পরে তিনি মহিলা সিআইজি সংগঠন, বসতবাড়িতে ভার্মিকম্পোস্ট তৈরী, নিরাপদ সব্জি ও ফল উৎপাদন , ছাদ বাগান ও কৃষি ডাক্তার সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় কৃষকদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি বলেন, কৃষি বান্ধব সরকারের নীতিই হলো কৃষকদের ভাগ্যের উন্নয়ন করা। কৃষি মন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় কৃষকদের সার্বিক সহযগীতায় কৃষির উৎপাদন বাড়তে কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।

পরে তিনি বাঘারপাড়া উপজেলার দাদপুর গ্রামে ৩০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ পরিদর্শন করেন। সূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস।