প্রতিনিধি মান্দা (নওগাঁ), এগ্রিকেয়ার২৪.কম: নওগাঁর মান্দায় নিবিঘ্নে বোরো ধান চাষ, বাণিজ্যিক ও লাভজনক ফসল উৎপাদনসহ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি ২০২৩) উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে সাতবাড়িয়া গ্রামে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো: আবু হোসেন এর সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো: খালিদ মেহেদী হাসান।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ এ কে এম মঞ্জুরে মওলা, মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আবুবাক্কার সিদ্দিক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোছা: মাহাবুবা সিদ্দিকা এবং উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোছা: শায়লা শারমিন।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো: খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে নারী ও পুরুষের সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই বিশেষ বর্তমান খাদ্য নিয়ে জটিলতার এই পরিস্থিতে বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন ভাল হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানীর পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে। নওগাঁয় উৎপাদিত ধান দেশের চাহিদা মিটাতে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে থাকে।

চলতি বোরো মৌসুমে সারের কোন সংকট হবে না এবং কোন সার ডিলার যদি সারের মুল্য বেশী নিলে তার বিরোদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ^াস প্রদান করেন তিনি।

জেলা প্রশাসক বলেন, দেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা পুরুনে সরিষার আবাদ বৃদ্ধির বিকল্প নেই। তাই সরিষার আবাদ বৃদ্ধির ফলে একদিকে যেমন ভোজ্য তেলের চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি মৌমাছি পালন করলে সরিষার ফলন শতকরা ৩০ ভাগ বৃদ্ধি পাবে এবং সেই সাথে মধু চাহিদাও পুরুন হবে।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ফসল উৎপাদনে কৃষক যাতে সহজে কৃষি ঋণ পায় তা মেলা মাধ্যমে দ্রুত কৃষকের মাঝে বিতরণ এবং বোরো ধান কর্তনে শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় স্থানীয় ভাবে হারভেষ্টার মেশিন তৈরী এবং স্বল্প মুল্যে কৃষকের মাঝে বিতরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের আশ^াস প্রদান করেন।

উপপরিচালক কৃষিবিদ মো: আবু হোসেন বলেন, মান্দা কৃষি সমৃদ্ধ এলাকা। নওগাঁ জেলার মধ্যে মান্দা ধান, আলু, সবজি ও তেল ফসল উৎপাদনে দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, নওগাঁ জেলায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নিধারিত হয়েছিল, সেখানে আবাদ হয়েছে ৪৭ হাজার ৮শত হেক্টর জমিতে।

উপপরিচালক বলেন, সরিষার আবাদ বৃদ্ধির ফলে একদিকে যেমন ভোজ্য তেলের চাহিদা পুরুন তেমনি গো-খাদ্য, জমির জৈব সারের চাহিদা মিটবে এবং মৌমাছি পালনের মাধ্যমে অধিক পরিমানে মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। তিনি উপস্থিত কৃষক-কিষাণীদের ফসল উৎপাদনে সকল সমস্যা সমাধানে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সর্বাত্বক সহযোগীতার আশ^াস প্রদান করেন।

মতবিনিময় সভায় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রতিনিধি, বিএমডিএ প্রতিনিধি, কৃষি ব্যাংকে প্রতিনিধি, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তি, সাংবাদিকসহ প্রায় ৪০০ জন কৃষক-কিষাণী উপস্থিত ছিলেন।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ