ছবি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ‘দেশের চাহিদা পূরণ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। বিলুপ্তপ্রায় সব দেশীয় প্রজাতির মাছ স্বাভাবিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে।’ বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বশির আহম্মেদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার মোহম্মাদ সাঈদুর রহমান, মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. আনিছুর রহমান তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মন্ত্রী একই দিন উপজেলা পরিষদ মাঠে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করতে তাদের গাভী বিতরণ করেন।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার শাসন আমলে এ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নতি হয়েছে। কৃষকরা ভালো আছেন। এটা একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেধা ও প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে’।

পরে মন্ত্রী জেলার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় বিজ্ঞান মেলা, জাতীয় অলিম্পিয়াড এবং বিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

এছাড়া বিশ্বের অন্যতম খাদ্য রপ্তানিকারক দেশ দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিল। গত দুই-তিন দশকে চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অনেক দেশে সয়াবিন, গরু ও মুরগির মাংস রপ্তানি করছে দেশটি।

ব্রাজিলের কৃষকের উৎপাদিত খাদ্য বিশ্বের ৭৭৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১০ শতাংশের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করছে। দেশটির কৃষিবিষয়ক রাষ্ট্রীয় গবেষণা সংস্থা এমব্রাপার এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়।

এমব্রাপা জানায়, ২০২০ সালে ব্রাজিলের কৃষকেরা বিশ্বের কত মানুষকে খাবারের জোগান দিয়েছেন, সেটি বের করতে সংস্থাটির গবেষকেরা দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। আরেক হিসাবে আমদানি করা খাদ্য বাদ দিয়ে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সালে ব্রাজিল বিশ্বজুড়ে ৬৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষের খাদ্য জোগান দিয়েছে, যার মধ্যে আছে দেশটির ২১ কোটি ২৩ লাখ জনগণ।

এমব্রাপার গবেষণায় ব্রাজিলের দানাদার শস্য এবং তেলবীজকে মূল খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।পশুর মাংস আবার মানুষের প্রাণীজ আমিষ মূলত এ দুটি খাবারই মানুষ ও পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুসারে, ব্রাজিলের শস্যের মূল্য বের করা হয়। তাতে দেখা যায়, গত বছর ৭৭ কোটি ২৬ লাখ মানুষের খাদ্যের জোগান দিয়েছে ব্রাজিল। এর মধ্যে ৫০ কোটির বেশি বাইরের দেশের।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ