রপ্তানীযোগ্য কৃষি পণ্যের সংখ্যা

ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দেশ থেকে রপ্তানীযোগ্য কৃষি পণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধির তাগিদ দিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এসময়ে তিনি পাহাড়ী ভূমিকে সঠিকভাবে ব্যবহারের আহ্বান জানান।

রোববার (১৬ ফেব্রয়ারি, ২০২০) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদস্থ খামারবাড়ি চত্বরে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর সমূহের স্থানীয় কর্মকর্তাগনের সাথে মত বিনিময় সভায় কৃষিমন্ত্রী এ তাগিদ দেন।

এসময়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বানিজ্যিক কৃষির মাধ্যমে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন করার মাধ্যমে জনগনের জীবনমানের উন্নয়ন করা বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান অঙ্গীকার।

এই অঙ্গীকার পূরণ করার জন্য সকলকে যার যার অবস্থান থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থ হওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কৃষিকে লাভজনক করার জন্য নিজস্ব উদ্ভাবনী শক্তিকে ব্যবহার করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাজুবাদাম, কফির মত উচ্চ ফলনশীল ফসল উৎপাদন ও রপ্তানির মাধ্যমে দেশ থেকে রপ্তানীযোগ্য কৃষি পণ্যের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পাহাড়ী ভূমিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।

কৃষি যান্ত্রিকীকরণ সরকারের অন্যতম প্রধান অঙ্গীকার বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষির উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে হবে। দেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

মসলা ও ভোজ্য তেলে আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে আনার জন্য দেশে মসলা ও তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ডাল, তেল ও মসলা ফসল উৎপাদনে যে সব প্রতিবন্ধকতা আছে তা দূর করার জন্য সরকার সচেষ্ট রয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমার গ্রাম, আমার শহর সরকারের এই লক্ষ্যকে মনে রেখে সকলকে তাদের নিজ নিজ কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ন করতে হবে। কর্মপরিকল্পনা বাস্তবমুখী ও অর্জিত হতে হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল মুঈদ।

সভাপতির বক্তব্যে কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান বলেন, ফসলের পুরাতন জাতকে নতুন জাত দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে হবে। পার্বত্য এলাকায় ইক্ষুর চাষ এমনভাবে বাড়াতে হবে যেন ইক্ষুর চাষ তামাক চাষকে প্রতিস্থাপিত করতে পারে।

তিনি বলেন, যান্ত্রিক উপায়ে সমকালীন চাষাবাদ ব্যবস্থায় কৃষকদের অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। নব উদ্ভাবিত কৃষি প্রযুক্তি এলাকার উপযোগিতা বিবেচনা করে সম্প্রসারণের জন্য র্কাযকর পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে।

সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার স্থানীয় পর্যায়ের কর্মর্কতা, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, গন্যমান্য ব্যক্তি, কাজুবাদাম চাষী, কৃষক প্রতিনিধসহ অনেকেই অংশগ্রহন করেন।

উল্লেখ্য এর আগে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গায় অবস্থিত একটি কাজুবাদাম প্রসেসিং কারখানা পরিদর্শন করেন। রপ্তানীযোগ্য কৃষি পণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধির তাগিদ দিলেন কৃষিমন্ত্রী শিরোনামের সংবাদটির তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস নিশ্চিত করেছে।

আরও পড়ুন: কৃষির আধুনিকায়ন ও বাণিজ্যিকীকরণে নতুন সংযোজন মধু এখন রপ্তানী হচ্ছে