ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রবি মৌসুমে বিভিন্ন ফসলে সফলতার কৌশলসমূহ নিচে তুলে ধরা হলো। ভুট্রা: মধ্য আশ্বিন থেকে অগ্রহায়ণ পর্যন্ত ভুট্রার বীজ বপন করতে হবে।

গম: কার্তিক মাসের দ্বিতায় পক্ষ থেখে গম বীজ বপনের প্রস্তুতি নিয়ে অগ্রহায়নের ১ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে বীজ বপন করতে হবে। দোআঁশ মাটিতে গম ভাল হয়।

বীজ বপনের আগে অনুমোদিত ছত্রাকনাশক প্রতি কেজি বীজে ৩ গ্রাম দিয়ে বীজ শোধন করে নেয়া ভাল। সেচযুক্ত চাষের জন্যে বিঘাপ্রতি ১৬ কেজি এবং সেচবিহীন চাষের জন্য বিঘাপ্রতি ১৩ কেজি বীজ বপন করতে হবে।

সরিষা: কার্তিক মাস সরিষা চাষের উপযুক্ত সময়। বিঘাপ্রতি গড়ে ৮০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি সরিষিার বীজ প্রয়োজন হয়। সরিষা ক্ষেতে মৌ বক্স স্থাপন করতে হবে।

তেল জাতীয় ফসল: সরিষা ছাড়াও অন্যান্য তেল ফসল যেমন চিনামবাদ, তিষি, সূর্যমুখি এ সময় চাষ করা যায়। চিনাবাদাম চাষের ক্ষেত্রে বারি উদ্ধাবিত উচ্চ ফলনশীল জাত ব্যবহার করতে হবে।

আলু: মধ্য কার্তিক থেকে মধ্য অগ্রহায়ন পর্যন্ত আলু বপনের উপুক্ত সময়। বেলে দোআঁশ থেকে এলে দো আঁশ মাটি আলু চাষের জন্য বেশ উপযোগী।

মিষ্টিআলু: কার্তিক মাস মিষ্টি আলুর লতা লাগানোর উপুক্ত সময়। নদীর ধারে পলিযুক্ত এবং বেলে দোআঁশ প্রকৃতির মাটিতে মিষ্টি আলু ভালো ফলন দেয়।

ডাল ফসল: কার্তিক মাস খেসারি, ফেলন, সিয়াবিন, ছোলাসহ অন্যান্য ডাল জাতীয় ফসল চাষের উপুক্ত সময়।

এখন শীতকালীন শাকসবিজ চাষের উপযুক্ত সময়। লালশাক ও মুলা শাকের বীজও এ সময় বপন করতে পারেন। যত তাড়াতারি সম্ভব উন্নত জাতের দেশি বিদেশি ফুলকপি, বাধাকপি, ওলকপি, শালগম, বাশিাক, টমেটোর চারা উৎপাদনের জন্য বীজতলায় বীজ পন করুত ব।

মশলা জাতীয় ফসল: কার্তিক মাস মসলা ফসলের মধ্যে পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, ধনিয়া, মঝি, কালিজিরা, মৌরি বপনের উপযুক্ত সময়।

বোরো ধানের বীজতলা তৈরি: কার্তিক মাসের শেষার্ধ থেকে বীজতলা তৈরি করে আধুনিক জাতের বোরো ধানর বীজ বপন শুরু করতে হবে।

ভালো ফসল পাওয়ার জন্য মান সম্পন্ন উচ্চফলনশীল আধুনিক জাতের বীজ ব্যবহার করতে হবে। এর দ্বারা ফসলের ফলন ১৫ থেকে ২০ ভাগ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। জমির উর্বতর্ বৃদ্ধি ও মাটির স্বাস্থ্য রক্ষার লক্ষ্যে সুষম মাত্রায় সার দরকার।

কম্পোস্ট, ভার্মিকম্পোস্ট, সবুজ সার ও অন্যান্য জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। ক্ষতিকর রোগ ও পোকামাকড় দমনের জন্য জৈব বালাইনাশক, পার্চিং, আলোর ফাঁদ ও ফেরোমন ট্র্যাপ ব্যবহার পরিবেশ রক্ষা হয়। সাশশ্য়ী সেচের জন্য সেনিপা ও ফিতা পাইপ ব্যবহার করতে হবে। জমিতে পরিমিত পরিমাণ সেচ দিতে হবে। সূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস।