অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়ছে ডালের দাম। চলতি সপ্তাহে আরো এক দফা দাম বেড়েছে ডালের। নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে দীর্ঘ সময় ধরে এ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার চড়া। গত বছরের আগস্ট থেকে প্রতি মাসেই বাড়ছে সব ধরনের ডালের দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আসন্ন রমজান মাসকে কেন্দ্র করে এ সপ্তাহে ডালের বাজারদর আবারো বেড়েছে। তবে বাজারে সরবরাহ সংকট নেই বলেও জানিয়েছেন তারা।

সব ধরনের ডাল গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ৩-৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশী মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১২৭ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগেও একই ডাল বাজারে বেচাকেনা হয়েছিল ১২৩ টাকা কেজি দরে। সে হিসেবে দাম বেড়েছে ৪ টাকা।

ভারতের দিল্লি সুপার ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১৩৫ টাকা কেজি দরে। একই ডাল ১০-১২ দিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ১৩০ টাকা কেজি দরে। সে হিসেবে দাম বেড়েছে ৫ টাকা। এছাড়া আরএ দিল্লি সুপার ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১২৮ টাকা কেজি দরে। একই ডাল ১৫ দিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ১২৫ টাকা কেজি দরে। সে হিসেবে দাম বেড়েছে ৩ টাকা।

বোল্ডার মসুর ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৯২ টাকা কেজি দরে। একই ডাল জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বেচাকেনা হয়েছিল ৮৮ টাকা কেজি দরে। সে হিসেবে দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৪ টাকা। ভাঙা মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৮৬ টাকা কেজি দরে। এই ডাল ১০-১২ দিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ৮০ টাকা কেজি দরে।

সে হিসেবে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৬ টাকা। খেসারি ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৭৪ টাকা কেজি দরে। একই ডাল এক সপ্তাহ আগে বেচাকেনা হয়েছিল ৭১ টাকা কেজি দরে। সে হিসেবে দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৩ টাকা।

মুগ ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১০৫ টাকা কেজি দরে। একই ডাল কয়েকদিন আগে ১০২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। সে হিসেবে দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৩ টাকা।

ডাবলি বেচাকেনা হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। একই ডাল দুই সপ্তাহ আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ৫৭ টাকা কেজি দরে। সে হিসেবে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৩ টাকা। অ্যাঙ্কর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৬২ টাকা কেজি দরে। একই ডাল কয়েকদিন আগে বেচাকেনা হয়েছিল ৬১ টাকা কেজি দরে।

ডাল ব্যবসায়ী বিকাশ সাহা জানান, বাজারে ডালের দাম কিছুটা স্থিতিশীল ছিল। সবজির দাম কম থাকায় ডালের বেচাকেনাও ছিল নিম্নমুখী। কিন্তু সম্প্রতি পণ্যবাহী জাহাজে আটকা পড়েছে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে ডালের দাম বাড়তে শুরু করে। দুই একদিনের ব্যবধানে সব প্রকার ডালের দাম কেজিতে ৩-৪ টাকা বেড়ে গেছে। এছাড়া মিল থেকেই ডালের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে খুচরা পর্যায়ে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

আরেক ডাল ব্যবসায়ী বিপ্লব সাহা বলেন, এই মৌসুমে ডালের দাম কেন বাড়ছে সেটি আমরা বুঝতে পারছি না।

আমিনুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘বাজারে ডালের কোনো ঘাটতি নেই। পর্যাপ্ত ডাল মিলগুলোতে মজুদ আছে। কিন্তু এর পরও ডালের দাম বাড়ানো ব্যবসায়ীদের কারসাজি। ভোক্তা অধিকারের কোনো তত্পরতা নেই নিতাইগঞ্জে। ফলে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমাফিক দাম বাড়িয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছেন।’

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ