নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বরিশালে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করার দায়ে ১৪ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।দেশের বিভিন্ন জায়গার মতো এবার রাজশাহীতেও কেজিদরে তরমুজ বিক্রিতে আল্টিমেটাম দিয়েছেন প্রশাসন, কেজিদরে তরমুজ বিক্রি করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল ২০২১) সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিত সরকার ও কৌশিক আহমেদ তরমুজ আড়তগুলোতে একথা জানিয়েছেন। আগামীকাল বুধবার (২৮ এপ্রিল ২০২১) থেকে খুচরা কিংবা পাইকারী বাজারে কেজিদরে তরমুজ বিক্রি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর শালবাগানে তরমুজ আড়তগুলোতে এ আল্টিমেটাম দিয়ে আসেন। তাঁরা বলেন,  “তরমুজের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই। তাই বুধবার থেকে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা যাবে না। পিস হিসেবে বিক্রি করতে হবে। তাহলে ক্রেতারা দাম করার সুযোগ পাবেন। দামও তাহলে কমে আসবে।”

রাজশাহীর সাহেববাজার মাস্টারপাড়া এলাকার তরমুজ ব্যবসায়ী বিল্পব এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, রাজশাহীর আড়তে তরমুজ আসে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে। আগে এ অঞ্চলে তরমুজ চাষ হলেও এখন হয়না। খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, বরগুনা, নওগাঁর বরেন্দ্র অঞ্চল থেকে কিছু তরমুজ আসে। আড়তে ৫০ টাকা কেজি কিনে খুচরা ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করা দোষের কিছু দেখি না । পুলিশ বিক্রি করতে দেয় না। করোনায় লোকজন তেমন বাজারে আসছে না। পিস বিক্রি করলে তেমন লাভ থাকবে না।

ক্রেতারা বলছেন, রোজায় চাহিদা থাকায় তরমুজের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে পরিকল্পিতভাবে। এর পিছনে সিন্ডিকেট কাজ করছে। এমন অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার বাজারে নামেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিত সরকার ও কৌশিক আহমেদ। তাঁদের সঙ্গে জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেনও ছিলেন।

এ সময় মামা-ভাগ্নে ফল ভাণ্ডারের মালিক শাহিন হোসেন কালু বলেন, বরগুনা, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা থেকে যেসব ব্যবসায়ীরা তরমুজ এই আড়তে আনেন তাঁদেরকেও কেজিদরে মূল্য পরিশোধ করতে হয়। তাই এটি বাস্তবায়ন করতে কয়েকদিন সময় লাগবে। আড়ৎদারেরা বলেন, কেজিদরেই তরমুজ বিক্রি করলে যে দাম কমবে ব্যাপারটি তা নয়। বরং তাঁদেরকে যদি কেজিদরেই বিক্রি করার সুযোগ দেয়া হয় তাহলে একটু সময় নিয়ে তাঁরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করবেন।

জেলা প্রশাসনের দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরীর শিরোইল ও ভদ্রা এলাকার কয়েকটি আড়তে গিয়ে একই ঘোষণা দিয়ে আসেন। এ দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, বুধবার থেকে যদি খুচরা কিংবা পাইকারী বাজারে কেজিদরে তরমুজ বিক্রি করা হয় তাহলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাই এখন থেকে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করতে হবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ