ইউসুফ আলী সুমন, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে চলতি রোপা আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এদিকে ধানের আশানুরুপ দাম পাওয়ায় দফায় দফায় বন্যার ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন কৃষকরা।

চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার মোট ১৮ হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমন ধান চাষ হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার ছাড়িয়ে গেছে। ইতোমধ্যেই উপজেলার প্রায় ৩৫০ হেক্টর জমির আমন ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। চলতি রোপা আমন মৌসুমে  ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

জানা গেছে, আমন ধান রোপনের কিছুদিন পরই হানা দেয় ৪ বারের বন্যা। এতে করে কিছুটা ক্ষতি হয় নিম্মাঞ্চলের আমন ধান। কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় কৃষকরা পরবর্তীতে ব্রি ধান-৮৭ জাতের ধান চাষ করেন। বর্তমানে এসব ধান কর্তন করা শুরু হয়েছে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে অনুযায়ী, বিঘা প্রতি ব্রি ধান-৮৭ এর ফলন ১৮-২০ মন হারে। এই জাতটি আগাম পরিপক্ক হয়। এ জাতের ধানে রোগবালাইয়ের আক্রমণ অনেক কম, বালাইনাশক প্রয়োগ করতে হয় কম এবং ফলনও অনেক বেশি হয়। যার কারণে কৃষকরা এই জাতের ধান কেটে ওই জমিতে সরিষা, গমসহ অন্যান্য সবজি চাষ করতে পারেন। তাই আশা করা হচ্ছে কৃষকরা আমন ধানের বাম্পার ফলন থেকে বন্যার ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পারেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, আমন ধান রোপনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরামর্শ প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতা ও খোঁজখবর নিচ্ছে কৃষি অফিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যার কারণে এবার আমন ক্ষেতে কোথাও কোন ক্ষতিকর পোকা ও রোগের আক্রমণ দেখা যায়নি।

এই কর্মকর্তা আরোও বলেন, উপজেলার সকল কৃষকদের ঘরে আমন ধান পুরোপুরি না ওঠা পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ইতিমধ্যেই নমুনা শস্য কর্তন করে কৃষকদের ধান কাটতে উদ্বুদ্ধ করেছি। চলতি আমন মৌসুমে কৃষকরা বাম্পার ফলন পাবেন। এতে করে আমন ধানের লভ্যাংশ থেকে কৃষকরা বন্যার ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আমি আশাবাদি। কারণ বর্তমানে বাজারে ধানের দামও অনেকটাই ভালো আছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ