ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আয়রন ও জিংকসমৃদ্ধ নতুন ধানের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। আর করোনাকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আয়রন ও জিংকসমৃদ্ধ জাতের ধান চাষ করা আমাদের জন্য জরুরি।

আসুন জেনে নিই ধানের যেসব জাত সমূহ জিংকসমৃদ্ধ:

আমন মৌসুমে চাষ উপযোগী জিংক ধানের জাত সমূহ
ব্রি ধান৬২:

জীবনকাল ১০০ দিন। চারার বয়স ২০ দিনের কম। জিংকের পরিমাণ- ২০ মিলিগ্রাম/ কেজি চাল। ফলন: ১২-১৫ মন/ ৩৩ শতাংশ। চাল লম্বা, সরু ও রং সাদা।

ব্রি ধান৭২:
জীবনকাল ১২৫-১৩০ দিন। জিংকের পরিমাণ- ২২.৮ মিলিগ্রাম/ কেজি চাল। ফলন: ২০-২৫ মন/ ৩৩ শতাংশ। চাল লম্বা, মোটা ও রং সাদা।

আও পড়ুন: নতুন ধানের জাতসহ উন্নত প্রযুক্তি দ্রুত কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর

বি ধান২০:
জীবনকাল ১২৫-১৩০ দিন। জিংকের পরিমাণ- ২৬.৫ মিলিগ্রাম/ কেজি চাল। ফলন: ১৫-২০ মন/ ৩৩ শতাংশ। চাল লম্বা, চিকন ও রং লাল বাদামী।

বোরো মৌসুমে চাষ উপযোগী জিংক ধানের জাত সমূহ
ব্রি ধান৭৪:
জীবনকাল ১৪৫-১৪৭ দিন। জিংকের পরিমাণ- ২৪.২ মিলিগ্রাম/ কেজি চাল। ফলন:২৪-২৮ মন/ ৩৩ শতাংশ। চাল মাঝারি মোটা ও রং সাদা।

আরও পড়ুন: এশিয়া ও আফ্রিকার ২০ দেশে বাংলাদেশের উদ্ভাবিত ধানের জাত চাষ হচ্ছে

ব্রি ধান৮৪: 
জীবনকাল ১৪০-১৪৫ দিন। জিংকের পরিমাণ- ২৭.৬ মিলিগ্রাম/ কেজি চাল।
আয়রনের পরিমাণ: ১০.১ মিলিগ্রাম/ কেজি চাল।
ফলন:২০-২৭ মন/ ৩৩ শতাংশ।
চাল মাঝারি চিকন ও রং হালকা বাদামী।

ব্রি’র বিজ্ঞানী ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশে পাঁচটির মতো জিংকসমৃদ্ধ ধান রয়েছে। তবে ধান ভাঙনোর সময় তুষের সঙ্গেই জিংক চলে যায়। আর আয়রন সমৃদ্ধ একটি জাতেরও একই অবস্থা। জিন পরিবর্তনের মাধ্যমে চালের মূল উপাদানে (এন্ডোপ্লাজম) আয়রন ও জিংকসমৃদ্ধ নতুন জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এতে প্রান্তিক মানুষের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান আয়রন ও জিংক জোগান দেয়া সম্ভব হবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে যেসব জাতের ধান চাষ করবেন শিরোনামে সংবাদের তথ্য জামালপুর জেলা বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর অফিসার কৃষিবিদ মো: সাইফুল আজম খানের ফেইসবুক টাইম লাইন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি