নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: লকডাউনের খবরে তেল-চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার হিড়িক পড়েছে  রাজশাহীর কাঁচাবাজারে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নিত্যপণ্যের দামও কিছুটা বেড়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, লকডাউনের খবরে গত তিনদিন থেকে বেচা-কেনা বেশ ভালো হয়েছে। পটল, বেগুন, শশা, ঢেড়স, কচু, লাউ, কুমড়া, পেপে, মিষ্টি কুমড়া সব কিছু বেশি বিক্রি করেছি। তবে সব চেয়ে বেশি পরিমানে বিক্রি হচ্ছে দেশীয় পটল।
পটল ব্যবসায়ী আকবর আলি জানান, সকাল থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে তিনি তিন বস্তা পটল বিক্রি করেছেন। তার মত অনেকেই গত নিদিন থেখে ভালোই বিক্রি করছেন বাজারে। এসব চিত্র বাজারে ঘুরে দেখা গেছে।

সোমবার রাজশাহীর কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি পটল ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শশা ৮০ টাকা, ঢেড়স ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কচু ৫০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, কুমড়া ৪০ টাকা, পেপে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, দেশি গাজর ৫০ টাকা, চায়না গাজর ১২০ টাকা, আলু ২০ টাকা ও কাকরোল ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। দাম বেড়েছে আদা- রসুনের। আদা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা। আর রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া দাম বেড়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের। প্রতি লিটার সয়াবিন ১২৫ টাকা থেকে বেড়ে ১৪০ আবার কোথাও কোথাও ১৫৩ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে। তবে, খোলা তেলের বাজারে দাম কমেছে। প্রতি কেজিতে ৪ টাকা কমে দাড়িয়েছে ১২০ টাকায়। যা আগের মূল্য ছিলে কেজিতে ১২৪ টাকা।এছাড়াও প্রতি হালিতে ১০ টাকা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ টাকাতে বিক্রি হয়েছে।

এদিকে গরুর মাংস, মুরগী, মাছ ও চালের বাজারে বেশ ভিড় দেখা গেছে। মাংস বিক্রেতারা জানান, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া খাশির মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা ও ছাগলের মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির মধ্যে ব্রয়লার ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, সোনালী ১৯০ টাকা, সাদা লেয়ার ২০০ টাকা ও দেশি মুরগি ৩৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, মাছের বাজারে প্রতি কেজি ট্যাংরা ৬০০ টাকা, পিয়ালি ৬০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, মোয়া ৪০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, সিলভার ২০০ টাকা, মৃগেল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, রুই ৩০০ টাকা, বোয়াল ৮০০ টাকা, চিংড়ি ১০০০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৭৫০ থেকে ১০০০ টাকায়।

মাছ বিক্রেতা বলছেন, গত তিনদিন থেকে ভালোই বিক্রি হচ্ছে। সামনে লকডাউন দেবে এই আশঙ্কায় সবাই বেশি বেশি করে মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। মূলত; ১০ টার পর থেকে ভালো বিক্রি শুরু হয়।

চালের বাজারে প্রতি কেজি আটাশ নতুন ৫২ টাকা, পুরাতন ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা, মিনিকেট নতুন ৫৮ টাকা, পুরাতন ৬২ টাকা, নাজিরশাল ৬৮ টাকা, কাটারীভোগ সেদ্ধ নতুন ৬০ টাকা, কাটারীভোগ পুরাতন ৭৫ টাকা, স্বর্ণা ৪৮ টাকা, কালজিরা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, চিনিগুড়া ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, জিরাশাল নতুন ৫৮ টাকা, বাসমতি নতুন ৬৬ টাকা, বালাম ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ