নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় কঠোর লকডাউনের ৭ দিন মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে । চলমান লকডাউনেও আমচাষী, ব্যবসায়ী, আড়তদার ও রফতানিকারকরা জেলায় ঢুকতে পারবে।

সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ এ ঘোষণা দেন। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ, মৃত্যুহার ও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট রোধে মঙ্গলবার (১ জুন) রাত ১২ টা ০১ মিনিট থেকে কঠোর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কঠোর লকডাউনের আওতায় ১১ দফা নির্দেশনা বজায় রেখেছে জেলা প্রশাসন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, চলমান কঠোর লকডাউনের সকল নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে। তবে জেলার প্রধান অর্থকারী ফল আমের মৌসুমে আমচাষী, ব্যবসায়ী, আড়তদার ও রফতানিকারকদের যাতে কোন ক্ষতি না হয়, সেজন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তের আম ব্যবসায়ীদের জেলায় প্রবেশে কোন বাধা নেই। তারা জেলায় প্রবেশ করতে পারবে ও কোনরকম বাধা ছাড়াই ব্যবসা করতে পারবে। জেলায় করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী। তবে এটি অব্যাহত রাখতে স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে, চলমান কঠোর লকডাউনের আওতায় জেলায় প্রবেশ ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে।

আম বাজারজাতকরন ও পরিবহনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমের আড়তের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। তবে সরাসরি বাগান থেকে ট্রাকে আম পরিবহন করা যাবে। এছাড়াও অনলাইনে অর্ডার গ্রহণ করে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আম ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। এছাড়াও শিল্প কলকারখানার শ্রমিকরা নিজস্ব পরিবহনে যাতায়াত করবে। এছাড়া জরুরি পরিসেবা যেমন- কৃষি উপকরণ, খাদ্যশস্য পরিবহন, কোভিড টিকা, ত্রাণ বিতরণ, বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মী, ইন্টারনেট লাইন সংযোগ সংশ্লিষ্টরা লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী, পুলিশ সুপার এএইচএম আব্দুর রকিব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাকিউল ইসলাম, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আরএমও জাহাঙ্গীর আলমসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

তিনি আরও বলেন, কঠোর লকডাউনে সব ধর‌ণের যাববহন বন্ধ থাকবে, তবে জরুরি পরিসেবা- এ্যাম্বুলেন্স ও পন্যবাহী ট্রাক চালু থাকবে। দ্বিতীয় মেয়াদে আগামী ৭ দিনে বাইরের জেলা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোন পরিবহন ঢুকতে পারবে না এবং জেলা হতে অন্য কোথাও যেতে পারবে না। অর্থাৎ আন্তঃজেলা পরিবহন বন্ধ থাকবে।

জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, লকডাউন চলাকালীন সময়ে সকল প্রকার দোকানপাট ও সাপ্তাহিক হাট বন্ধ থাকবে। তবে কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ফার্মেসী খোলা থাকবে। কেউ জরুরি প্রয়োজনে বাইরে গেলে অব্যশই মাস্ক পরিধান করে যেতে হবে। এমনকি জুম্মাসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে ২০ জনের বেশি অংশ নিতে পারবে না।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ