সজিবুল হৃদয়, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুরে ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে প্রায় ৪২ হাজার গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছে স্থানীয় খামারিরা। দেশের বিভিন্নস্থানে বন্যা হওয়ায় নায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। তবে বন্যার প্রভাব এ অঞ্চলের পশুর দামের ওপর পড়বে না বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মধ্যে ষাঁড় ১১ হাজার ৪৬৪টি, বলদ ৩ হাজার ৬৮২টি, গাভি ১হাজার ৮৮৫টি, মহিষ ৮৫৪টি, ছাগল ২১ হাজার ৬৯৫টি, ভেড়া ২ হাজার ৩২৭টি সহ মোট ৪১ হাজার ৯০৭টি গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। উপজেলায় পশুর চাহিদা ৩৩ হাজার হলেও ৮ হাজার ১৭৭টি পশু বেশি রয়েছে। যা উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে।

পড়তে পারেন: কোরবানির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ১ কোটি ২১ লাখ পশু

স্থানীয় খামারি আবু মাহা, মাকসুদা খাতুন বলেন, গত বছর ২৬-২৮ হাজার টাকা মণ হিসাবে গরু বিক্রি করেছি, এবার ব্যবসায়ীরা ২২-২৩ হাজার টাকা মণ দাম বলছে। দেশে বন্যার কারণে বাইরের জেলার ব্যাপারীরা না আসলে সঠিক দাম পাওয়া নিয়ে খামারিদের ভুগতে হবে।

গরুর খামারি মকবুল মালিথা বলেন, আমার খামারের ৬মণ ওজনের গরু ১ লাখ ২২ হাজার বুলছে। গোখাদ্যের দাম অনেক বেশি। এমন করে চলতে থাকলে গরুর নায্য দামও পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ।

লালপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার এগ্রিকেয়ার২৪.কম বলেন, কৃষকরা কোরবানি ঈদে একটু বাড়তি দামের আশা করেন। এবারও কৃষক কাঙ্খিত দামই পেতেন। তবে বন্যার কিছুটা প্রভাবে হয়তো বাড়তি দাম পাবেন না। খামারীদের পশু বিক্রয়ের সুবিধার্থে অনলাইনে প্রচার চালানো হচ্ছে। আশা করছি কৃষকরা ভালো দাম পাবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ