মালিকুজ্জামান কাকা, যশোর, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মাত্র ৩৭ শতক জমিতে ২০১৮ সালে শিম-বরবটি চাষে কৃষিতে হাতে খড়ি সিরাজুল ইসলামের। প্রথম বছরে শিম ও বরবটির ভালো ফলন পাওয়ায় তার আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। ক্রমাগত শিম-বরবটি চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন এই চাষি।

পাশাপাশি এই শিম ও বরবটির বাজারে চাহিদা থাকায় ভালো দামে বিক্রি করায় স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি। তার সাফল্য দেখে সবজি চাষির সংখ্যা বাড়ছে।

যশোরের কেশবপুর উপজেলার গৌরীঘোনা চরের মাঠে বর্তমানে প্রায় শতাধিক কৃষক শিম ও বরবটি চাষ করছেন। এদের মধ্যে অগ্রকৃষক সিরাজুল ইসলাম।

সিরাজুল ইসলাম জানান, ৩৭ শতক জমির ক্ষেত থেকে একদিন বাদে একদিন প্রায় ৭০-৮০ কেজি শিম ও বরবটি উঠছে। মাঠ থেকেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা তা কিনছেন। কেজি প্রতি শিম ৯০ থেকে ১০০ টাকা এবং বরবটি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরো জানান, গৌরীঘোনা চরমাঠে প্রায় ১০০ বিঘা রয়েছে। এই মাঠে এবার ৬০ বিঘা জমিতে আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে ৩০ বিঘা জমিতে চাষ হয়েছে গ্রীষ্মকালীন শিম ও বরবটি।

সিরাজুল ইসলাম জানান, এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করলে চার মাসে ১৮ থেকে ২০ মণ ধান হয়। কিন্তু এ চাষে খরচের পরিমাণ অনেক বেশি। গ্রীষ্মকালীন শিম-বরবটি আবাদ করে বিঘা প্রতি ভালো ফলন হলে বিঘাতে প্রায় দুই থেকে তিন লাখ টাকায় বিক্রি করা যায়। খরচ বাদে মৌসুম শেষে এক থেকে দেড় লাখ টাকা লাভ থাকে। তবে ডিজেল, সার, কীটনাশকের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানান তিনি।

গৌরীঘোনা ইউনিয়নের কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা আবুল কাশেম জানান, বর্তমান ইউনিয়নে প্রায় আবাদি জমি ও মৎস্য ঘেরের ভেড়িসহ প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে এই শিম ও বরবটি চাষ হচ্ছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ