নাটোর প্রতিনিধি, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: উত্তরবঙ্গের একাধিক স্থানে কালবৈশাখী আঘাত হেনেছে। এরমধ্যে নাটোরের গুরুদাসপুর ও সিংড়া উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে কালবৈশাখী ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধান, লিচু, আম, তরমুজ ও বাঙ্গীর ক্ষতি হয়েছে।

বুধবার (২৫ এপ্রিল) বিকালে নাটোরের গুরুদাসপুরের নাজিরপুর, বিয়াঘাট ও ধারাবারিষা এবং সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ঝড় আর শিলাবৃষ্টির কবলে পড়ে। শিলাবৃষ্টি আর ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয় এইসব এলাকার অন্যতম মৌসুমি ফল লিচুর।

আম, তরমুজ ও বাঙ্গীরও অনেক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া উঠতি বোরো ধান,কলা ও ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসলেরও ক্ষতি হয়।

নাজিরপুর এলাকার আব্দুর রহমান জানান, শিলাবৃষ্টিতে তার আম ও লিচুর গুটি ঝরে গেছে। এছাড়া যে গুটি গাছে আছে তাও ঝরে পড়াসহ পচে যাওয়ার শংকায় তিনি শংকিত। দফায় দফায় শিলা বৃষ্টির কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে তার মতো আম ও লিচু বাগান মালিকরা।

সিংড়ার বিলদহর গ্রামের কৃষক ফরিদুল ইসলাম জানান বার বার শিলাবৃষ্টির কারণে তাদের এলাকার অধিকাংশ কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। প্রতিবিঘা ধানের উৎপাদন গতবারের তুলনায় এবার কম হবে।

কারণ চলনবিলের প্রায় ৮০ ভাগ বোরো ধান পেকে গেছে। এমন বিপর্যয়ে সময় মতো ঘরে ধান তুলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে তারা শংকিত। তাই এখন অনেকেই প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে আগেভাগেই আধা-পাকা ধান কেটে নেওয়ার চিন্তা করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, তাৎক্ষনিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানানো সম্ভব নয়। তবে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের জন্য কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছে বলে জানান তিনি। সবশেষ জেলা কৃষি অফিস থেকে জানানো হয়, শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে বড় ধরণের ক্ষতি হয় নি এ অঞ্চলের ফসলের।