নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) চত্বরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা ২০২২।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুন ২০২২) সকালে মেলার উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। মেলা চলবে ১৮ তারিখ পর্যন্ত। এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘বছরব্যাপী ফল চাষে, অর্থ পুষ্টি দুই-ই আসে’।

মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে এবং রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল ক্রয় করতে পারছেন। সরকারি ও বেসরকারি মিলে ৬৭টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করছে।

উদ্বোধন শেষে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সকল মানুষের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে। মানুষকে পর্যাপ্ত পুষ্টিজাতীয় খাবার দিতে সরকার কাজ করছে। বর্তমানে একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক ফলের চাহিদা ২০০ গ্রামের বিপরীতে মাত্র ৫৫-৬০ গ্রাম খেতে পারছে, এটিকে ২০০ গ্রামে উন্নীত করতে হবে। ১৭ কোটি মানুষের প্রত্যেকের জন্য ২০০ গ্রাম ফল নিশ্চিত করা অনেক চ্যালেঞ্জিং। সেজন্য, পুষ্টিজাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। চালের উৎপাদনে আমরা যেমন বিপ্লব ঘটিয়েছি তেমনি ফলের উৎপাদনেও বিপ্লব ঘটাতে চাই। দেশি ফল বিলুপ্ত হবে না বলে এসময় জানান মন্ত্রী।

পড়তে পারেন: ফল উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

তিনি বলেন, দেশি ফলের জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ করা হচ্ছে। পরে কেআইবি মিলনায়তনে জাতীয় ফল মেলা উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে যোগ দেন মন্ত্রী। কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো: বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও সংস্থাপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিএসও বাবুল চন্দ্র সরকার। তিনি জানান বর্তমানে দেশে দেশি বিদেশি ৭৮ রকমের ফল চাষ হচ্ছে। তবে উৎপাদিত ফলের শতকরা ৬০ ভাগই হচ্ছে আম, কলা ও কাঁঠাল। এর আগে সকালে কৃষিমন্ত্রী খামারবাড়ি সড়কে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ভবন ‘মৃত্তিকা ভবন’ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ