সফল কৃষককে সিআইপির’র মত

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ভালো ‍কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী ও সফল কৃষককে সিআইপি’র মতো এআইপি কার্ড প্রদানের প্রস্তাব সংসদে অনুমোদন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ, ২০২০) বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনার ইউরিয়া (Guner Ureya) এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকরে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এ কথা বলেন। সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময়ে কৃষিমন্ত্রী জানান, এআইপি (AIP) (এগ্রিকালচারাল ইম্পরট্যান্ট পারসন) কার্ড পাওয়া সফল কৃষকেরা সিআইপির (কমার্শিয়াল ইম্পরট্যান্ট পারসন) কার্ড পাওয়াদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

এ এআইপি কার্ড দেয়ার জন্য খুব শিগগিরই সফল কৃষক ও ভাল উৎপাদনকারীদের নিকট থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

কসোভার রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাত অনুষ্ঠানে দু’দেশের কৃষি, প্রাণিসম্পদ এবং ডেইরি  নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।

এসময় কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনার ইউরিয়া কৃষির উপর পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং বাংলাদেশ থেকে শীতকালীন শাকসবজি আমদানির আগ্রহ তুলে ধরেন।এছাড়াও তিনি যুদ্ধের সময় কসোভোর ধ্বংসপ্রাপ্ত পোল্ট্রি এবং ডেইরি শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশের  সহযোগিতা কামনা করেন।

কৃষি মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একসময় কৃষি খাত কম উৎপাদনশীল ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের নানাবিধ উদ্যোগ এবং কৃষি খাতে প্রণোদনার ফলে কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। বাংলাদেশের এসব অভিজ্ঞতাকে কসোভো কাজে লাগাতে পারে। সেক্ষেত্রে দুদেশের একসাথে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষি মন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে কিছু দেশ থেকে খাদ্য পণ্য আমদানি বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশে খাদ্যে কোন ঘাটতি হবে না। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আমদানি করে ভোজ্য তেল। যার সিংহভাগ আসে মালয়েশিা থেকে, এক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম।

সফল কৃষককে সিআইপি’র মতো এআইপি কার্ড প্রদানের প্রস্তাব সংসদে অনুমোদন শিরোনামের সংবাদটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অফিসার মো.কামরুল ইসলাম ভূইয়া এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: সিআইপি কার্ডের মতো কৃষি খাতে অবদানে দেয়া হবে এআইপি; কৃষি সচিব

প্রসঙ্গত, এ ধরণের অ্যাওয়ার্ড পেলে কৃষকেরা অনেক বেশি উৎসাহ পাবেন এবং কৃষির প্রতি সবার শ্রদ্ধাও বৃদ্ধি পাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।