ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: পিরোজপুরে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ শুরু হয়েছে। এলাকার প্রায় সব কৃষক একসাথে ধান চাষের জন্য ইতোমধ্যে বীজতলাও শুরু করেছে। এই পদ্ধতিতে ধান কাটার পর জমি অনুযায়ী ভাগ করা হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নেছারাবাদের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চপল কান্তি নাথ জানান- ধান উৎপাদনের পরে জমির মালিকানা অনুযায়ী ধান ভাগ করে দেয়া হবে। চাষাবাদে সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে দক্ষতা উন্নয়ন করে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমলয় ধান চাষ শুরু হয়েছে।

ব্লক পর্যায়ে সমলয় ধানচাষ প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় পিরোজপুরে চলতি মৌসুমে ৫০ একর জমিতে ৭০ জন কৃষককে নিয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

নেছারাবাদ উপজেলার সমুদয়কাঠী ইউনিয়নে সেহাঙ্গল গ্রামে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের স্থান চূড়ান্ত করা হয়েছে। এস এল-৮ এইচ বোরো জাতের উচ্চ ফলনশীল এর আবাদ করা হবে এই সমালয়ে।

এই জাতের ধান থেকে প্রতি হেক্টরে ১০ টন চাল উৎপাদন হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য হচ্ছে কৃষকদের ট্রাক্টর, রিপার মেশিন, কম্বাাইন্ড হার্ভেস্টার এবং রাইস ট্রান্সপ্লান্টারসহ সর্বাধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষ করে গড়ে তোলা এবং ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা।

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সেহাঙ্গল গ্রামে এ প্রকল্পটিতে সকল খরচ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমলয় ধানচাষ প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বহন করা হচ্ছে। ট্রাক্টরসহ যাবতীয় কৃষি যন্ত্রপাতি ভাড়ায় এনে এই ৫০ একরের ক্ষেতে ব্যবহার করা, সার, বীজ, ওষুধসহ সব খরচ কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বহন করবে।

সমুদয়কাঠী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর জানান- আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর কৃষক সমাজ তৈরীতে এই প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ ইউনিয়নসহ আশপাশের ইউনিয়নের কৃষকরা এবং বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ এখানে চাষাবাদের আধুনিক কলাকৌশল দেখা ও শেখার জন্য ভীড় করবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সিকদার জানান এসএল-৮ এইচ জাতের ধানের কর্তন কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার দিয়ে করা হবে এবং ধান মাড়াইয়ের কাজেও আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে। প্লাস্টিকের ট্রের উপর ধানের বীজ উৎপাদন করে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে চারা রোপণ করা হবে।

সব কৃষকের একসাথে ধান চাষ, কাটার পর হবে ভাগ! সংবাদের তথ্য বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা থেকে নেওয়া হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ