নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রিশিল্প সংগঠন প্রান্তিক খামারিদের পাশে থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে খামারিদের সহজ সর্তে ব্যাংক ঋণ প্রদান, বাচ্চা ও খাদ্যের দাম কমানোসহ ৬ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেছে। গত বুধবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

প্রান্তিক খামারি ও পোল্ট্রি শিল্প রক্ষায় লাগামহীন পোল্ট্রি খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিম ও সকল প্রকার মুরগির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছে সংগঠনটি।

কথা হয় বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্প সংগঠনের সভাপতি মো: মফিজুল ইসলাম মল্লিক এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির আওতায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও মানবন্ধন করা হয়েছে। বেশ কিছু দাবি দাওয়া প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আমরা আশ্বাসও পেয়েছি বিভিন্ন সময়। আমাদের যে ৬টি দাবি রয়েছে লিখিতভাবে দেওয়া হয়েছে। সেখানে আমরা খাদ্যের দাম কমানো, খামারিদের ঋণের ব্যবস্থা এসব বিষয়ে বলেছি।

তিনি আরোও বলেন, বিভিন্ন কোম্পানি সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। পোল্ট্রি খাদ্য ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পোল্ট্রিশিল্প শুধু দেশের সিংহভাগ মানুষের খাদ্য পুষ্টি ও আমিষের চাহিদাই পূরণ করছে না বরং লাখো যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এই খাতকে রক্ষায় সরকারের কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন।

এই খাতের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের রক্ষা ও দাবি বাস্তবায়নে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ সময় তারা ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হলো- ১. ব্রয়লার মুরগির ৫০ কেজি বস্তা খাদ্যের দাম ২ হাজার থেকে ২১ শ’ টাকার মধ্যে আনা। ২. সকল প্রকার মুরগির বাচ্চার দাম ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে আনতে হবে। বাচ্চার মান বৃদ্ধি করতে হবে। ৩. খাদ্য ও বাচ্চা উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর রেডি মুরগি উৎপাদন বন্ধ করে খামারিদের রক্ষা করতে হবে। ৪. প্রতিটি উপজেলায় নিবন্ধিত খামারিদের স্বল্পসুদে সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা।

৫. একজন খামারি ১০ হাজার মুরগির বেশি উৎপাদন করতে পারবে না। ৬. প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্প সংগঠনকে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন দিতে হবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ