জেলা প্রতিনিধি, নাটোর, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: নাটোরের সিংড়ায় খামারিরা মাটিতে দুধ ঢেলে প্রতিবাদ করেছে। দুধের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় প্রতিবাদের অভিনব কৌশল হিসেবেেএ পথ বেছে নেয় খামারিরা।

আজ শনিবার সকালে বাহাদুরপুর বটতলা এলাকায় প্রায় ৩০ জন খামারী দুধ ঢেলে বাড়িতে ফিরে আসেন। গতকাল শুক্রবারও দুধ বিক্রি না করেই ফেলে দিয়ে প্রতিবাদ জানায় তারা।

খামারিরা বলছেন, দুধ প্রতিদিন সকাল বিকেল দোহন করতেই হয়। চাইলেই দুধ বন্ধ করে দেওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে দুধ সংগ্রহ করতেই হচ্ছে। কিন্তু দাম নাই। খড় ও ভূষির দাম আকাশছোঁয়া। ১৫-২০ টাকা কেজি দুধ বিক্রি করে উৎপাদন খরচ উঠে না। সরকার করোনালীন সময়ে খামারিদের যে প্রণোদনা দিয়েছে তা অনেকেই পায়নি। যা পেয়েছে তা নগন্য। সরকারিভাবে প্রতি জেলায় পাস্তুরাইজেশনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন ও সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুগ্ধখামার গড়ে তোলার দাবিও জানান তারা।

প্রাণিসম্পদ সূত্রে জানা যায়, নাটোরের সিংড়া উপজেলার ৬০০টি গরুর খামার রয়েছে। ১২ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার ও হাটে দুধ বিক্রি হয়। মহাজনদের কাছে প্রতি দিন ৫০ থেকে ৬০ লিটার দুধ একেকজন খামারী বিক্রি করতে আসেন। কিন্তু লকডাউনে মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকায় দুধ কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না মহাজনেরা।লকডাউনের শুরতে যেসব দুধ তারা কিনেছিলেন সেসব দুধ ছানা আকারে ফ্রিজিং করে রেখেছেন। এছাড়া ঘি,পনির বানিয়েও রাখছেন তারা।

এদিকে বাজারে ২০ টাকা কেজি দুধ বিক্রি করে বাহন ভাড়া দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না খামারিরা। গরুর খাবারের খরচ অন্তত পেলিই আপাতত তারা রক্ষা পাবেন বলে বলছেন খামারিরা।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার ডাঃ খুরশিদ আলম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, কলম, চামারী, হাতিয়ান্দহ এলাকায় বহু খামারী আছে। চামারী ও হাতিয়ান্দহতে বেসরকারি ভাবে প্রান ও আরং দুগ্ধ ক্রয় করে। শুক্রবার কিংবা অন্যান্য ছুটির দিন দুধ ক্রয় বন্ধ থাকে। ইটালী, ডাহিয়া ইউনিয়নে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুধ শীতলীকরন অর্থাৎ ক্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ