নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: শীত চলে এলেও বাজারে এখনও কমেনি অধিকাংশ সবজির দাম। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি। তবে কমেছে পেঁয়াজের দাম। হঠাৎ বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজ দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা।

আজ রাজশাহীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সব ধরনের সবজি তুলনামূলক বেশি দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে। শীত চলে এলেও এখনও সব ধরনের সবজির চড়া বাড়তি থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

নগরীর সাহেববাজার মাস্টারপাড়া সবজিবাজারের সবজি বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম জানান,  দেশি-বিদেশি সব ধরনের পেঁয়াজের দামই বেড়েছিল। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল ১০ থেকে ২০ টাকা। তবে গত কয়েক দিনের তুলনায় আট থেকে ১০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। কিছু দিন আগেও ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় পেঁয়াজ কিনতে হয়েছিল।

শনিবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বরবটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, করলা ৫০ টাকা, সিম ৪০ টাকা, দেশি আলু ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিচ ৩০, পেঁয়াজের ফুল (ফুলকা) প্রতি আঁটি ২০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৩০ থেকে ২৫ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচা পেঁপে প্রতি কেজি ২০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৩০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৩০ টাকা, ক্ষীরা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৪০ টাকা আর কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। মধ্যমানের দেশি পেঁয়াজে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। আর আমদানি করা ভালোমানের পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।

পেঁয়াজের বাড়তি দামের বিষয়ে বাজারের খুচরা বিক্রেতা কবির উদ্দিন বলেন, হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। শুক্রবার বাজার একটু কম দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। তাও গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় কম।  মুড়ি কাটা পেঁয়াজ বাজারে এসেছে তাই দাম কমতে শুরু করেছে। এছাড়া সামনে পেঁয়াজের দাম আরও কমে যাবে।

ক্রেতা বদরুদ্দোজা বলেন, শীত চলে এসেছে তবুও আমাদের বাড়তি দামেই সবজি কিনতে হচ্ছে। অথচ অন্যান্য বছর শীত এলে এসব সবজি বর্তমান বাজারের চেয়ে অর্ধেক দামে কিনতে পেরেছি। এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সবজির চড়া দামই চলছে।

একই বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা মাইদুল বলেন, এ বছর আসলেই সবজির দাম বেশি। তবে ভালোভাবে শীত পড়লে আর নতুন সবজি পুরোপুরি বাজারে আসতে শুরু করলে এ দাম কমে যাবে। তবে সবজির বাজার বেশি থাকার আরেকটি কারণ হলো উৎপাদন খরচ বেড়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ