ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বাগেরহাটে স্বেচ্ছাশ্রমে গরীব ও বর্গা চাষীদের ধান কেটে দিচ্ছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা-কর্মীরা। আজ রোববার সকালে দলটির বাগেরহাট জেলা শাখার উদ্যোগে শহরতলীর পুটিমারির বিলের দুজন কৃষকের ধান কাটার মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হয়।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাগেরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফররুখ হাসান জুয়েল, সদস্য জাহিদুল ইসলাম জাদু, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেলাল হোসেন বিদ্যাসহ ১০ জন নেতাকর্মীরা বিলের বর্গাচাষী অনিক হাসান ও শাহানারা বেগমের ৬ বিঘা জমির ধান কাটছেন। পর্যায়ক্রমে আরও অনেক চাষীর ধানকেটে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।

এদিকে দেশের এই সঙ্কটের সময় বিনা পারিশ্রমিকে স্বেচ্ছাশ্রমে এভাবে ধান কেটে দেওয়ায় খুশি এলাকাবাসী ও কৃষকরা।

কৃষক অনিক হাসান বলেন, ধান কাটার সময় সাধারণত ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পারিশ্রমিকে শ্রমিক পাওয়া যেত। করোনা পরিস্থিতিতে এক হাজার টাকায়ও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই পাকা ধান নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। হঠাৎ করে কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা ধান কেটে দেওয়ার কথা বলেন। সকালে এসেই ধান কাটা শুরু করেন। আমি খুবই আনন্দিত।

স্থানীয় আবুল কালাম বলেন, ধান রোপন ও ধান কাটার সময় কৃষকরা এক ধরনের শ্রমিক সংকটে ভোগেন। করোনা পরিস্থিতিতে কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা এভাবে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ জন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাগেরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফররুখ হাসান জুয়েল বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে জাতি এক ধরনের ক্রান্তিকাল পার করছেন। এই পরিস্থিতিতে মাঠের বেশিরভাগ কৃষকের ধান পেকে গেছে। শ্রমিক সংকটে চাষীরা ধান কেটে ঘরে ওঠাতে পারছেন না। তাই আমাদের দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে গরীব, হত দরিদ্র ও বর্গা চাষীদের পাকা ধান কেটে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এটা চলমান থাকবে। সমাজের অন্যান্যদেরও অসহায় কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রঘুনাথ কর বলেন, বাগেরহাট জেলায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। আমরা শ্রমিক ও ধান কাটার যন্ত্রপাতিগুলো প্রস্তুত করেছি। যাতে আগামী মে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে ধান কেটে কৃষকরা ঘরে তুলতে পারে। এবছর ৫২ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড বোরো আবাদ হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৪৩ হাজার মেট্রিক টন ধান। সূত্র:বণিক বার্তা