ফাইল ছবি

ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: খরা ও বন্যা সহিষ্ণু একটি নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন করতে কাজ করছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একটি দল। তাদের এই নতুন জাতের ধান হেলে পড়বে না, দ্বিগুণ ফলন দিবে বলে জানান তারা।

গবেষকদের দাবি, ধান গাছের পাতা শেষ পর্যন্ত সবুজ থাকার ফলে ফলন ভালো হবে এবং গবাদি পশুর গুণগত খাদ্য চাহিদাও পূরণ হবে। এতে করে একজন কৃষকের ধানের পাশাপাশি গবাদিপশুর দিক থেকেও আয় করা সহজতর হবে।

চলতি আমন মৌসুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মাঠে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের যৌথ গবেষণায় এই নতুন জাতের ধান উদ্ভাবনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। খরা ও বন্যা সহিষ্ণু ধানের জাতটি দ্বিগুণের বেশি ফলনশীল হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই উচ্চ ফলনশীল ধান গাছটির আরেকটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো, এর কান্ড শক্ত ও মজবুত হওয়ার কারণে রোপণ থেকে শুরু করে ধান উত্তোলন পর্যন্ত পুরো মৌসুম জুড়ে গাছ হেলে না পড়ে দাড়িয়ে থাকবে এবং প্রতিকূল পরিবেশেও ফলন দিবে।

নতুন জাতের ধানের উদ্ভাবনের এই গবেষণার সাথে যুক্ত আছেন উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ, কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোমিনুর রহমান এবং উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আরিফুজ্জামান। এই গবেষণার সাথে আরো যুক্ত ছিলেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মামুনুর রশীদ, নূরী মারজান এবং উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সুমি সাহা।

উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ জানান, ‘গবেষণাধীন এ উচ্চ ফলনশীল ধানের জাতটি আর কয়েক বছর রোপণ ও পর্যবেক্ষণের পর কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে। এতে করে কৃষকরা অধিক ফলন পাবে এবং ধান উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘কৃষিবান্ধব সরকার, কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সহযোগিতা পেলে এরকম উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত নিয়ে আরো গবেষণা চালিয়ে যাওয়া ও কৃষিখাতে অবদান রাখা সম্ভব হবে।’

এ্রগ্রিকেয়ার/এমএইচ