নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ঘরের পাশে আরেকটি ঘরে বাধা ১৪ টি ছাগলের একটিও বেঁচে নেই। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে চোখের সামনেই। বেঁচে থাকার শেষ সম্বল সদ্য গরু বিক্রির ৫৫ হাজার টাকা সেটিও ভস্মিভূত!

শুধু তাই নয়, আগুনের লেলিহান শিখায় ঘরে থাকা ৩০ মণ ধান, ১০ মণ আলু, ১৪টি ছাগল, ঘরের আসবাবপত্র, কাপড়চোপড়সহ ২ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে দামুড়হুদা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিভেন্সের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভান তারা।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নতুন বাস্তপুর গ্রামে। অগ্নিকাণ্ডে কৃষক সাইদুর রহমানের এসব ক্ষতি হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলারা রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে ৩০ হাজার টাকা তুলে দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাইদুর রহমানের রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই বসতঘর, গোয়ালঘর, বিচালির গাদায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

কৃষক সাইদুর রহমান বলেন, রান্নাঘর থেকে কোনোভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। আগুনে আমার সব পুড়ে গেছে। আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। পরিবার নিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করা ছাড়া উপাই নেই।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুল হান্নান এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, ধারনা করা হচ্ছে সাইদুর রহমানের রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত। তাঁর ১৪টি ছাগল, ঘর বাড়ি সব পুড়ে ছাই হয়েছে। ইউপির পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

দামুড়হুদা ইউএনও দিলারা রহমান এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, বাস্তপুর গ্রামের অগ্নিকান্ডের বিষয়টি জানি। তারপর সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা অর্থসহায়তা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মো: মশিউর রহমানের সাথে। তিনি এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, আমি আগামীকাল সেখানে যাব। প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে কোন সহায়তা আসলে সেভাবে নেই। চিকিৎসা করার মতো কোন বিষয় থাকলে সেটা করা হবে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ