জেলা প্রতিনিধি, রাজশাহী, এগ্রিকেয়ার২৪কম: রাজশাহীর বিভিন্ন বাজারে বেশ ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগি। গত দিন দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগিতে বেড়েছে ১০ টাকা।

রাজশাহীর সাহেববাজার মাষ্টারপাড়া কাঁচাবাজারের পাইকারি মুরগি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, মুরগির দাম বাড়ছে। ৩ দিনে ব্রয়লারের কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। আবার অন্যান্য মুরগির দাম যে কম তাও বলা যাবে না।গত মাস এপ্রিলের মাঝামাঝিতে সোনালী ২৭০ টাকা, লেয়ার সাদা ১৮০ টাকা, লেয়ার লাল ২১০ টাকা এবং দেশী মুরগি ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। এর মাঝে কিছু উঠনামা হয়েছে।

আরোও পড়ুন: শনিবার (৮ মে) রাজশাহী অঞ্চলে পোল্ট্রির ডিম, মুরগি ও বাচ্চার পাইকারি দাম

আরেক ব্যবসায়ী মিলন হোসেন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, মুরগির দাম আর বাড়বে বলে মনে হয়। ঈদের মধ্যে কিছুটা বাড়তে পারে আবার  নাও বােড়তে পারে। বলা যায় না পোল্ট্রি সেক্টরের কথা। হটাৎ আমদানি বেড়ে গেলে দাম কমে যায়। আবার বাজার টান পড়লে দাম বাড়ে।

এই ব্যবসায়ী জানান, বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা, সোনালী ২৪০ টাকা, লাল লেয়ার ২২০ টাকা দরে বিক্রি করছি। রাজশাহীর বাজারে সাদা লেয়ার নাই তাই দাম বলতে পারব না।

বাজারের ডিম ব্যবসায়ী শামীম হোসেন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। কাঁচাবাজারের ঠিক নাই। মাল (ডিম) একটু টান পড়লে দাম বাড়ে আবার ক্রেতা কমে গেলে বা চাহিদা না থাকলে দাম কমে যায়। প্রতিহালি (৪টি) লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকায়। সাদা ডিম ২৬ টাকা ও হাঁসের ডিম ৪০ টাকা হালি দরে বিক্রি করছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, খাদ্যের এবং বাচ্চার দাম অত্যন্ত বেশি। বস্তাপ্রতি খাদ্যেও দাম ফের বাড়ানো হয়েছে ৫০-৭৫ টাকা। দাম বাড়ার কারণে মুলত বাচ্চা তুলছেন না খামারিরা। করোনার ভয়ে কয়েকমাস আগে খামারিরা বাচ্চা না তোলার কারণে এখন তৈরি মুরগি বাজারে টান পড়ে। এ কারণেই মূলত দাম বেড়ে ৩০০ টাকা কেজি লাগে। এখন মুরগির বাজার আস্তে আস্তে কমবে। তবে, এখন যে বাজার আছে তাতে আমাদের লাভ হচ্ছে। কমে গেলে লাভ থাকেনা।

আজ রোববার (৯ মে ২০২১) নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

রাজশাহী পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, রাজশাহীতে ৬০ ভাগ খামার ফাঁকা হয়ে গেছে। বার্ড ফ্লু রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক মুরগি মারা গেছে। ভয়ে আর নতুন বাচ্চা তুলছেন না খামারিরা। আগের মতো আবার মুরগির দাম বাড়বে। এখন যা একটু কমেছে তাও থাকবে না।

ডিমের দাম বাড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিমের দামও বাড়বে। অনেক লেয়ার খামারি মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন। খাদ্যের দাম বেড়েছে তিন মাসে ১৫০ থেকে ১৭৫ টাকা। এই দাম বাড়ানো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না। বৈশ্বিকভাবে দাম ১২ টাকা থেকে ১৩ টাকা বাড়লে বাংলাদেশে সিন্ডিকেটে দাম বাড়ায় ৭০-৮০ টাকা। এটা কোন নীতি নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না।

রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইসমাঈল হক এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, করোনায় খামারিরা বেশ লোকসানে পড়েছেন। সরকার প্রণোদনা সহায়তা দিয়েছে যাতে তারা একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। ঈদের আগে মাংসের দাম কিছুটা বাড়তি হয়। খামারি ভোক্তাদের সুবিধার্থে ভ্রাম্যমাণ ডিম, দুধ, মাংস বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ