৫ বছরের মধ্যে কৃষিকে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ৫ বছরের মধ্যে কৃষিকে বাণিজ্যকরণ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরে কৃষিকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিক রূপান্তর করা হবে।

তিনি বলেন, দুটি প্রধান লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তার মধ্য অন্যতম হলো কৃষিকে বাণিজ্যিককরণ। আগামীতে কৃষির গুরুত্ব আরও বাড়বে। সেই সঙ্গে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তাও দেয়া যাবে। এছাড়া পুষ্টি সমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্যও আমাদের লক্ষ্যে রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একটি হোটেলে কৃষিভিত্তিক মিডিয়া সংলাপ ২০১৯ ’এ সংবাদকর্মীদের এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

কৃষির সার্বিক এই উন্নয়নে মিডিয়া অপরিহার্য উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, মিডিয়া সারা পৃথিবীতে  অপরিহার্য। অনেক বিধিবর্হিভূত কাজ ও অর্জন গণমাধ্যম তুলে ধরে। কোথায় কী কাজ হচ্ছে তার গঠন মূলক সমালোচনার মাধ্যমে সঠিক পথে চলতে সহায়তা করবে।

মূল প্রবন্ধ ওপর আলোচনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) এর সদস্য মো. হামিদুর রহমান। এ সময়ে তিনি কৃষির অতীত ইতিহাস, ঐতিহ্য, গুরুত্ব ও গণমাধ্যমের ভূমিকার ওপর গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন।

মিডিয়া বিদেশী বিনিয়োগ, রপ্তানীসহ কৃষকদের কাছে কৃষিবিষয়ক নানা তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করে থাকে বলে মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

ভূর্তুকির বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকার যদি কৃষিতে ভর্তুকি না দিত তাহলে এত পরিমান খাদ্য উৎপাদন কখনই সম্ভব হতো না। এবার খাদ্য উৎপাদনের যে টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছিল তার চেয়ে ১৩ লাখ টন খাদ্য বেশী উৎপাদন হয়েছে।

ড. রাজ্জাক বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে পশ্চিমা সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নানা কটুক্তি করেছিল। শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের সমস্ত আশংকা মিথ্যা প্রমাণ করেছে।

৫ বছরের মধ্যে কৃষিকে বাণিজ্যকরণ করা হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করার চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুত আমরা এ কাজও করতে পারবো। তাদের আশংকা আমরা বার বার মিথ্যা প্রমান করবো।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. মো. নুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মান্নান, কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান।

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. শামীম রেজা।

মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন পত্রিকা, টেলিভিশন ও অনলাইনের সিনিয়র সাংবাদিক। সংবাদকর্মীরা কৃষি বিষয়ক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তথ্যের অভাবের কথা তুলে ধরেন। এ ছাড়া তারা নিরাপদ খাদ্য, খাদ্যের পুষ্টি মান, সমন্বিত কৃষি, কৃষির উন্নয়ন, কৃষি পণ্যে রপ্তানীসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

আরও পড়ুন: পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশে সকল সহায়তা করা হবে: কৃষিমন্ত্রী