অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ৬ লাখ টন শস্য নিয়ে বন্দরে প্রস্তুত হয়েছে ইউক্রেনের ১৭টি জাহাজ। বন্দর ছাড়ার অনুমতি মিললেই কর্নোমস্ক বন্দর ছেড়ে যাবে। বন্দরটি পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর প্রথমবারের মতো এ্ প্রস্ততি তাদের। ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন বন্দরের ওপর দেয়া অবরোধ বিশ্বে খাদ্য সংকট ও পণ্যমূল্য বাড়িয়েছে। পুরো বিশ্বেই এ সংকট দেখা দিয়েছে।

এমন অবস্থায় জাতিসংঘের উদ্যোগে পণ্য সরবরাহ শুরুর বিষয়ে চুক্তি হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই প্রথম চালান নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছে ইউক্রেন। গুরুত্বপূর্ণ চালানটি ঠিকমতো পৌঁছলে বোঝা যাবে মূল সরবরাহ জলপথে অন্য কোনো প্রতিবন্ধকতা আছে কিনা।

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর কৃষ্ণসাগরে অবরোধ দেয় রাশিয়া। সে সময়ই এর নিন্দা জানিয়েছিলেন জেলেনস্কি। তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন, ইউক্রেন শস্য রফতানি করতে না পারলে গোটা বিশ্বেই শস্যের দাম বেড়ে যাবে।

বন্দর পরিদর্শনে গিয়ে ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, আমরা ইউক্রেনের শস্য রফতানির জন পুরোপুরি প্রস্তুত। এখন অন্য অংশীদারদের পক্ষ থেকে সংকেত পেলেই জাহাজগুলো রওনা হয়ে যাবে। বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তার অংশ হওয়া আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ফলে যখন কেউ কৃষ্ণসাগরে অবরোধ দেয় তখন এর মাধ্যমে অন্য দেশগুলোর মানুষের জীবনযাপনে সংকট তৈরি হয়।

যুদ্ধের পর গত শুক্রবার প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের মধ্যে। এ আলোচনায়ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রেখেছিল শস্য পরিবহন ইস্যু।

উল্লেখ্য, বৈশ্বিক গম সরবরাহের জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্বজুড়েই খাদ্যশস্যের সংকট তৈরি হয়। এ অবস্থায় গত সপ্তাহে জাতিসংঘের উদ্যোগে ইস্তানবুলে শস্য সরবরাহসংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়। এর মাধ্যমে শস্যবাহী জাহাজগুলোকে কর্নোমস্ক, ওডেসা ও পিভডেনি বন্দর দিয়ে নিরাপদে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ