নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ইলিশসম্পদ সংরক্ষণে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম অর্থাৎ আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত মোট ২২দিন প্রজননক্ষত্রের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় সকল প্রকার মাছ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয় বিক্রয় সরকার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

আজ রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০১৮’ বাস্তবায়নসংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রজনক্ষেত্র সমূহের মধ্যে রয়েছে, ১। মীরসরাই উপজেলার শাহের খালী হতে হাইতকান্দী পয়েন্ট, ২। তজুমুদ্দীন উপজেলার উত্তর তজুমুদ্দীন হতে পশ্চিম সৈয়দপুর আওলিয়া পয়েন্ট, ৩। কলাপাড়া  উপজেলার লতা চাপালি পয়েন্ট ৪। কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর কুতুবদিয়া হতে গণ্ডামার পয়েন্ট।

ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরিয়তপুর,  ঢাকা, মাদারীপউর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী,জামালপুর, নারায়নগঞ্জ, নরসিংদী , মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গোপালগঞ্জ জেলার সকল নদ-নদীতে এসময় সকলপ্রকার মাছধরা বন্ধ থাকবে।

এছাড়াও দেশের সুন্দরবনসহ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা এবং মোহনাসমূহেও এই ২২দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। দেশের মাছঘাট, আড়ত, হাটবাজার, চেইনশপসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় ২২দিন অভিযানও পরিচালিত হবে।

মন্ত্রী জেলে সম্প্রদায়, মৎস্য সমিতি, সধারণ জনগণসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের এসময় সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান।

সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডল, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ইয়াহিয়া মাহমুদ, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি যথাক্রমে ইসলাম আলী ও ফনী ভূষণ মালো এবং নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, পুলিশ, বিমানবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. শাহ আলম এগ্রিকেয়ার২৪.কম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।