ডেস্ক প্রতিবেদন: অন্তবর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রনালয় স্বল্প শুল্কে ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়। এর ফলে ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে ডিম। বেনাপোল পেট্টাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত বৃহস্পতিবার (৩১শে অক্টোবর) পর্যন্ত ৬টি চালানে সাড়ে ৭ টাকা মূল্যে ১২ লাখের বেশি ডিম আমদানি করা হয়েছে।
এসব ডিমের প্রতিটির প্রকৃত ক্রয়মূল্য ৫ টাকা ১৬ পয়সা। আমদানি শুল্ক, বন্দরের ভাড়া, পরিবহন, ব্যাংক এলসি ও এক্সপোর্টারের খরচ মিলিয়ে একেকটি ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে ৭ টাকার একটু বেশি।
এ অবস্থায় দাম কিছুটা কমেছে, রাজধানীতে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৪৫ টাকায়। বন্দর ও কাস্টম সংশ্লিষ্টরা জানায়, ৭ টাকা দরের ডিমের ৬ষ্ঠ চালানে এসেছে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিম। এ নিয়ে গত বছরের ৫ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ছয়টি চালানে ১২ লাখ ২১ হাজার ১৫০টি মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে।
আমদানি করা ডিম ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ শুল্ককর দিয়ে ছাড় করা হয়। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শুল্ক সুবিধা পাবে আমদানিকারকরা। ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজারে দাম কমাতে গত ১৭ অক্টোবর এক আদেশে শুল্ক কমিয়ে দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ইতোমধ্যে আরও ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
আগামী মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ঠ আমদানিকারকের সরকারের প্রথম ঘোষণার ৫০ লাখ ডিমের আরও ৩৮ লাখ ডিম আমদানি করার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে বেনাপোল দিয়ে ১২ লাখ ২১ হাজার ১৫০টি ডিম আমদানি করা হয়েছে। ঘাটতি পূরণে সরকার আরও সাড়ে চার কোটি মুরগির ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। সেগুলো ও পর্যায়ক্রমে আমদানি করা হবে। তবে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান এখনো আমদানি শুরু করেনি। প্রতি পিস ডিম আগে ১ টাকা ৯৬ পয়সা সরকারি শুল্ককর দেওয়া হতো। শুল্ক কমানোয় এখন থেকে প্রতিটি ডিমে মাত্র ৭৮ পয়সা শুল্ককর পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে আমদানি করা নতুন চালানের ডিম বাজারে অন্যান্য খরচসহ ৯ টাকার মধ্যে বিক্রি করার কথা।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, ভারত থেকে প্রতিটি ডিম কেনা হয়েছে ৫ টাকা ১৬ পয়সা দরে। প্রতিটা ডিমের আমদানি শুল্ক ৭৮ পয়সা। বন্দরের ভাড়া, পরিবহন, ব্যাংক এলসি, এক্সপোর্টারের খরচ মিলিয়ে একটি ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে ৭ টাকার একটু বেশি।