চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ বাজারে কম দামে বিক্রি করলেও সরকারি গুদামে গম বিক্রিতে অনীহা রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার কৃষকদের। তাদের দাবি, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের হয়রানির কারণে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দামে হাটে গম বিক্রি করছেন তারা।

অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় খাদ্য বিভাগের দাবি, হাটবাজারগুলোতে দাম বেশি থাকায় সরকারের কাছে গম বিক্রি করছে না কৃষক। গমের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে গত মাসে ২৮ টাকা কেজিতে সরকারিভাবে গম সংগ্রহ শুরু হয়।

স্থানীয় হাটবাজারগুলোতে প্রতি কেজি গম ২৭ টাকায় বিক্রি করছেন কৃষকরা। অথচ ২৮ টাকা কেজিতে সরকারি দপ্তরে বিক্রির সুযোগ থাকলেও যাচ্ছেন না তারা।

কৃষকদের অভিযোগ, গম বাছাইয়ের নামে খাদ্য গুদামের কর্মকর্তারা পদে পদে হয়রানি করেন। এ ছাড়া কর্মকর্তাদের তৈরি সিন্ডিকেটের কারণে কৃষকরা অসহায় হয়ে পড়েছেন।

কৃষকরা বলছেন, পদে পদে টাকা দিতে হয়, লেবার, বস্তার টাকা দিতে হয়। অনেক টাকা চান্দা, এই-সেই নানা ঝামেলা।
এ ছাড়া সরকারের কাছে বিক্রি করলে বিল পেতে দেরি হয়, তাই কিন্তু হাটে নগদ টাকায় বেচার সুযোগ হাতছাড়া করেন না। অধিদপ্তর গম কেনার ব্যাপারে তেমন প্রচারণাও চালায়নি বলে দাবি কৃষকদের।

গত ২৫ এপ্রিল থেকে প্রতিকেজি ২৮ টাকা দরে চারঘাট উপজেলায় ১ হাজার ৫৯৩ মেট্রিক টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে এক সপ্তাহেও উপজেলায় এখনো কোনো গম সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

কৃষকদের কোনো হয়রানি করা হয় না বলে দাবি খাদ্য কর্মকর্তার। চারঘাট উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মলিউজ্জামান এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, আমাদের সংগ্রহ অভিযান চলমান আছে। আজ পর্যন্ত হয়রানি সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত গম সংগ্রহ চলবে। এর মধ্যে চাষীরা গম দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ