কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালকের

ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পেলেন ড. আবদুল মুঈদ। এর আগে তিনি অধিদফতরের সরেজমিন উইং এর পরিচালকের দায়িত্ব ছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগষ্ট, ২০১৯) কৃষিমন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পূর্ণিয়া আক্তার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ড. মুঈদকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়। আজই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) মহাপরিচালক মীর নুরুল আলম এর শেষ কর্মদিবস ছিলো।



ড. আবদুল মুঈদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি অনার্স (কৃষি) এবং পরিবেশ বিষয়ে মাষ্টার্স সম্পন্ন করেন। একই বিষয়ের ওপর তিনি ড. ডিগ্রী অর্জন করেন।

ড. আবদুল মুঈদ ১৯৮৭ সালের ১ এপ্রিল ডিএই তে তৎকালীন বিষয় বস্তু কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। সবশেষ তিনি সরেজমিন উইংয়ে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কর্মজীবনে ড. মুঈদ সব সময়ই নিষ্ঠা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কর্মঠী এ কৃষিবিদ দেশের কৃষি উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকাও রাখছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পেলেন ড. আবদুল মুঈদ এমন সংবাদে কৃষিবিদসহ সবাই তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এগ্রিকেয়ার২৪.কম এর পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে শুভ কামনা জানানো হয়েছে।

জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সরাসরি দায়িত্ব পাওয়ার কথা থাকলেও ভারপ্রাপ্ত! জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ড. আবদুল মঈদ দায়িত্ব পাওয়ার কথা হলেও সরাসরি তাকে মহাপরিচালকের দায়িত্বভার দেয়া হয় নি। বলা হয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দাপ্তরিক ও আর্থিক কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য ড. মো. আবদুল মুঈদ (পরিচিতি নং ১২১৫) পরিচালক সরেজমিন উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর খামারবাড়ি ঢাকাকে উক্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক এর দায়িত্বভার আয়ন ও ব্যয়ন কর্মকর্তার দায়িত্ব প্রদান করা হলো।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দায়িত্ব শেষ হয়ে যাওয়া মহারিচালক (সাবেক) মীর নুরুল আলম অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়ার জন্যে কৃষিমন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। এ প্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্বটি দেয়া হয়েছে ড. মুঈদকে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্যাডার সার্ভিস এ জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদ বন্টন করা হয়। এ হিসেবে এখন মহাপরিচালকের দায়িত্বের জন্যে যোগ্য ড. আবদুল মুঈদ।

কিন্তু কোন কারণে যদি অতিরিক্ত সময়ের দায়িত্ব পেয়ে যান মীর নুরুল আলম। সেটা হবে অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এতে অনেকের মনও খারাপ হয়ে যাবে। অনেকের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিবে।