গবেষণার মাধ্যমে মাটির মান

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: গবেষণার মাধ্যমে মাটির মান চিহ্নিত করে ফসল উৎপাদনের পরামর্শের তাগিদ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেছেন, গবেষণা ও সম্প্রসারণের মধ্যে সমন্বয় আরো জোরোলো করতে হবে। গবেষনা প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলো দ্রুত মাঠে সম্প্রসারণ করলে আমাদের কৃষকরা বেশি উপকৃত হবে।

তিনি জানান, মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে সুষম সার জমিতে ব্যবহার করতে হবে। মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা করতে হবে, না হলে ভালো ফসল উৎপাদন করা সম্ভব নয়। মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে হবে।

আজ রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর খামারবাড়ির আ.কা.মু গিয়াস উদ্দিন মিলকী অডিটরিয়ামে ’গোপালঞ্জ খুলনা বাগেরহাট সাতক্ষীরা পিরোজপুর জেলায় কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প (এসআরডিআই অংগ) এর প্রারম্ভিক কর্মশালা ও ‘রিভার ওয়াটার স্যালাইনটি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের কাজে লাগাতে হবে। তারা যদি আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে, তাহলে আমাদের উৎপাদন আরো বাড়বে।

তিনি বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে অনেক জমি অব্যবহৃত থাকে এসকল জমি চাষের আওতায় আনতে হবে।

গবেষণার মাধ্যমে মাটির মান

গবেষণার মাধ্যমে মাটির মান চিহ্নিত করে ফসল উৎপাদনের পরামর্শের তাগিদ দিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, গবেষণার মাধ্যমে মাটির মান চিহ্নিত করে এলাকা ভিত্তিক ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের তাগিদ দেন।

আরও পড়ুন: ব্রাসেলস স্প্রাউট: নতুন ফসল, নতুন সম্ভাবনা
ভোজ্য তেলের উৎপাদন বৃদ্ধির আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
আউশে প্রণোদানা ৪০ কোটি টাকা

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, এছাড়া মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার কোন বিকল্প নেই। মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার্থে ভার্মি কমোপষ্ট ও কম্পোষ্ট সার ব্যবহার বৃদ্ধির পরামর্শ প্রদানের জন্য সম্প্রসারণ কর্মীদের আহ্বান জানান।

কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান, এমপি ও কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য।

কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মীর নুরুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক বিধান কুমার ভান্ডার।

বক্তারা মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক তথ্য তুলে ধরেন। তারা মনে করেন মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা করতে না পারলে ফসল উৎপাদন কমে যাবে। নতুন এ বইটিতে মাটির বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে।