নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: টার্কি পালনে এখন চারটি বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। নইলে এ খাতে আসা নবাগত উদ্যোক্তাদের স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে খামারিদের নিবন্ধন, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা, প্রশিক্ষণ, সচেতনতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নেয়া জরুরি।

শতাধিক টার্কি খামারি উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ‘বৃহত্তর যশোর টার্কি খামারিদের নিয়ে সমাবেশ’ এ এসব তথ্য তুলে ধরেন যশোর জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবতোষ কান্তি সরকার।

সমাবেশে বাংলাদেশে টার্কি খামার সম্প্রসারণের সমস্যা, সম্ভাবনা এবং এ শিল্পের ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ নিয়ে খামারিদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়। খামারিগণ সমাবেশে টার্কি পালন নিয়ে দ্রুত ক্রমবর্ধমান সংখ্যক বেকার যুবসমাজের স্বপ্নের আর কর্মসংস্থানের গল্প শোনান।

সমাবেশে প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে খামারিদের জানানো হয়, বাংলাদেশে ব্যক্তি উদ্যোগে শখের বশে বা বানিজ্যিকভাবে টার্কি পালন শুরু হলেও সরকার তথা প্রাণিসম্পদ বিভাগের নিয়ন্ত্রণ ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছাড়া এ শিল্প সম্প্রসারণ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড়াবে।

যশোরের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিজের উপলব্ধি থেকে বলেন, ক্রমবর্ধমান টার্কি খামারি-উদ্যোক্তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ছোট ছোট উদ্যোক্তা-খামারিদের সরকারি উদ্যোগে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে না পারলে পোলট্রির মত এখানেও তারা প্রযুক্তি জ্ঞানের অভাবে কতিপয় এজেন্টের হাতের ক্রীড়নক হয়ে স্বপ্নভঙ্গের মুখোমুখি হবে। আর এজন্য বিভাগীয় কর্মকর্তা-কর্মচারিদের এ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন গুরুত্বপূর্ণ।

দ্বিতীয়ত: ইচ্ছামত টার্কির বিভিন্ন জাত আমদানি এবং একই খামারে মিশ্রভাবে তা পালন করতে থাকলে জাতের বিশুদ্ধতা হারাবে এবং ডিম ও মাংস উৎপাদন হ্রাস পাবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেয়ে রোগ সংক্রমণ বেড়ে যাবে। এক্ষেত্রে বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ জরুরি।

তৃতীয়ত: রেজিস্ট্রেশনের আওতায় এনে শতভাগ খামারের জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও টিকাদান সিডিউল অনুশীলন নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে টার্কি প্রসারের সাথে সাথে নতুন-পুরাতন রোগ বিস্তারলাভ করবে।

চতুর্থত: টার্কি মাংসের স্বাদ, পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্বলিত পোষ্টার, লিফলেট, বুকলেট, মিডিয়া প্রচার এবং হোটেল-রেস্টুরেন্টের সঙ্গে সংযোগ সাধনের মাধ্যমে বাজার সৃষ্টির সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ না করলে উৎপাদন বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে।

প্রথম সূর্য্য এগ্রো ফার্ম আয়োজিত যশোর সদর (সাতমাইল বাজার) এ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আবদুল আওয়াল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা (যশোর সদর) তপনেশ্বর রায়সহ অনেকে।