ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠ ও নির্বিঘ্ন রাখতে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।

আজ শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর আগাগাঁও প্রধান নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ নির্দেশ দেন।

সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচনে সকলের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বস্তরের সদস্যদের নির্দেশ দিচ্ছি। সহিংস ও নাশকতামূলক অবস্থার সৃষ্টি হলে তা কঠোর হাতে দমনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিচ্ছি।

এ সময়ে চার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

আগামীকাল রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সারা দেশে ২৯৯ আসনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সাড়ে ১০ কোটি ভোটার ভোট দিবেন।

ভোটাররা যেন কেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘ্নে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, সে পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

নূরুল হুদা বলেন, কোনো মহল অবৈধভাবে ভোটকেন্দ্রে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করবে।

তিনি বলেন, কোনো বাহিনীর নির্লিপ্ততার কারণে বা নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কারণে কোনো কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ ব্যাহত হলে সেই কেন্দ্রের দায়িত্বরতদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কে এম নূরুল হুদা জানান, গত ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর সব দলের অংশগ্রহণ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও প্রচারের পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে নিজের অসন্তোষের কথা জানান ।

তিনি বলেন, দুঃখের সাথে লক্ষ্য করেছি, নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে। রক্তপাতের ঘটনা ঘটেছে, সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত হয়েছে। এগুলো আমাদের কাম্য ছিল না।

সহিংসতার কারণে যেখানে ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেখানে নিরপেক্ষ তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান সিইসি।

এজেন্টদের হয়রানি না করার নির্দেশ: ভোট শেষ হলে এজেন্ট, সাংবাদিক, পর্যব্ক্ষেকদের সামনে কেন্দ্রের ব্যালট গণনার কাজ শুরু করবেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। কোনো অবস্থায় নির্বাচনী কেন্দ্রের বাইরে ব্যালট গণনা করা যাবে না।

সিইসি বলেন, প্রার্থীর এজেন্টকে নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ করা হচ্ছে, এটা কাম্য নয়। কোনো এজেন্টের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কোনো অভিযোগ না থাকলে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করবে না। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে তাদেরকে পুরো নিরাপত্তা দিতে হবে।

ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই কেন্দ্র ত্যাগ না করার পরামর্শ দিয়েছেন সিইসি। তিনি বলেছেন, কেউ যদি অবৈধভাবে এজেন্টকে কক্ষ ত্যাগ করতে বলে, তখন ম্যাজিস্ট্রেট বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা নিতে হবে।

সাংবাদিকদের কাজে যেন বিঘ্ন না ঘটে, সেদিকেও খেয়াল রাখার কথা বলেছেন তিনি। দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের তিনি নির্দেশ দেন।

বলেন, আপনাদের কারও কারণে নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, কোন প্রার্থী যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং তারা যেন ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।

ভোটারদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, কোনো রকম প্রলোভন, প্ররোচনা, প্রভাব বা ভয়ভীতির কাছে নতি স্বীকার করবেন না। স্বাধীনভাবে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।