ভারতের চণ্ডীগড়ের একটি পাইকারি বাজারে মজুদ করে রাখা চাল ছবি: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বিশ্বের শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ ভারত। তবে দেশটিতে এ বছরের সর্বোচ্চে উঠেছে চালের দাম। এরপর থেকে মজুদ বাড়িয়েছে ভারত। অন্যদিকে বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অভ্যন্তরীণ চাহিদায় চালের মজুদ বাড়াচ্ছে আরেক দেশ ইন্দোনেশিয়া।

অনিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতি বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের আঘাত হেনেছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে চলতি বছরে ১২ লাখ টন চাল মজুদের পরিকল্পনা করছে ইন্দোনেশিয়া।

এ মজুদ দেশটির অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৩ দশমিক ৯ শতাংশ পূরণ করতে সক্ষম। ন্যাশনাল ফুড এজেন্সির (বাপানাস) একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

বাপানাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গুসতি কেতুত আস্তাওয়া রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইন্দোনেশিয়ার সরকারি খাদ্য মজুদকারী সংস্থা বুলগের কাছে বর্তমানে সাত লাখ টন চাল মজুদ রয়েছে। এছাড়া সরকার আমদানির পরিবর্তে অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের মাধ্যমে আরো পাঁচ লাখ টন চাল মজুদ করায় অগ্রাধিকার দেবে।

ইন্দোনেশিয়ান পরিসংখ্যান অফিসের তথ্যমতে, অক্টোবর-ডিসেম্বরে আনুমানিক ৫৯ লাখ টনসহ চলতি বছর দেশটিতে চালের উৎপাদন ২ দশমিক ২৯ শতাংশ বেড়ে প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ ৭০ হাজার টনে উন্নীত হবে।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

চালের দাম নিয়ন্ত্রণে ধান মজুদ বাড়ানোর উদ্যোগ

১ কোটি ১৫ লাখ টন গম আমদানি করবে ইন্দোনেশিয়া

বিশ্ব বাজারে কমছে চাল ও গমের দাম

এরআগে করোনাকালীন সময়ে দেশটির মজুদ একবারে নিচে নেমেছিল। সেসময় দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ায় চাল উৎপাদন প্রায় ১০ শতাংশ কমে গেছে। এ সময় দেশটিতে খাদ্যপণ্যটির উৎপাদন ১ কোটি ৭৮ লাখ টনে নেমেছে।

একই সময়ে দেশটিতে চালের চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ লাখ টনে। উৎপাদন কমার বিপরীতে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় টান পড়েছে চালের মজুদে। এ সময় ইন্দোনেশিয়ায় খাদ্যপণ্যটির মজুদ কমে দাঁড়িয়েছে সাকল্যে ৩৩ লাখ টনে। ইন্দোনেশিয়ান রাইস মিলারস অ্যান্ড অন্ট্র্যাপ্রেনিওরস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডমেস্টিক ট্রেড ডিরেক্টর জেনারেল সুহান্তো বলেন, নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ইন্দোনেশিয়ায় লকডাউন চলছে। এ পরিস্থিতিতে স্বল্প আয়ের মানুষদের সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তারা সহায়তা হিসেবে চাল পাচ্ছেন। এতে খাদ্যপণ্যটির চাহিদা বাড়তির দিকে রয়েছে।

টান পড়ছে চালের রাষ্ট্রীয় মজুদে। ফলে সম্ভাব্য সংকটময় পরিস্থিতি সামাল দিতে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব না হলে চালের আমদানি বাড়ানোর বিকল্প নেই।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ