ইউক্রেনে গমের রফতানি মূল্য

অর্থ-বাণিজ্য, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইন্দোনেশিয়ার গম আমদানি ১ কোটি ১৫ লাখ টনে পৌঁছবে বলে ধারণা করছে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ)। এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজার অস্থিতিশীলতার মধ্যেও মিলাররা আরো সঞ্চয় নিশ্চিত করতে চাচ্ছেন।

ওয়ার্ল্ডগ্রেইনের তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে গম আমদানি ১ কোটি ১৫ লাখ টনে পৌঁছবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে পূর্বাভাস ছিল, ওই অর্থবছরে শস্যপণ্যটি আমদানি হবে ১ কোটি ১২ লাখ টন। ২০২১-২২ অর্থবছরে গম আমদানির পূর্বাভাস ছিল ১ কোটি ১০ লাখ টন। পরে পূর্বাভাস বেড়ে ১ কোটি ১২ লাখ টনে উন্নীত করা হয়।

পড়তে পারেন: কমছে গমের দাম, দেশে স্বস্তির আশ্বাস

ইউএসডিএ জানায়, ইন্দোনেশিয়ার গম শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আরো মিল বাড়ায় বাজারে প্রতিযোগিতা তুঙ্গে রয়েছে। হাইব্রিড বীজের ব্যবহারও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ভুট্টা উৎপাদন ১ কোটি ২৮ লাখ টনে উন্নীত হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে শস্যপণ্যটির উৎপাদন আরো বেড়ে ১ কোটি ৩০ লাখ টনে উন্নীত হয়।

এদিকে বিশ্ববাজারে ভুট্টা ও গমের দাম অব্যাহতভাবে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইন্দোনেশিয়ার ভুট্টা আমদানি ১৩ লাখ টনে পৌঁছার সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ এর আগে পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, ভুট্টা আমদানি হবে ১২ লাখ টন।

কৃষ্ণ সাগরের বন্দর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি করতে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন। তুরস্কের ইস্তানবুলে হয় এ চুক্তি। এ চুক্তির কারণে ২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন দেশে গমের বিপদ কেটে যাবে। ফিরে আসবে স্বস্তি।

গত চার বছরে বাংলাদেশের গমের আমদানি ১৪ লাখ টন বেড়ে ২০২১–২২ অর্থবছরে ৭৫ লাখ টনে দাঁড়ায়। বাংলাদেশ পরিণত হয় বিশ্বের পঞ্চম গম আমদানিকারক দেশে।

পড়তে পারেন: চলতি মাসে ২০ লাখ টন গম রফতানির সম্ভাবনা রাশিয়ার

রাশিয়া-ইউক্রেন চুক্তি স্বাক্ষরের খবরে ২০ মিলিয়ন টন ইউক্রেনীয় শস্যের অবরোধ মুক্ত করার সম্ভাবনা ইতোমধ্যেই শুক্রবার বিশ্ববাজারে গমের দাম কমেছে। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউক্রেনে হামলা করার পর দেশটির গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলোর বেশিরভাগই দখল করে রাশিয়া। এরপর সেগুলো বন্ধ করে দেয় তারা। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ইউক্রেনের শস্য রপ্তানিও। এতে করে বিশ্বে খাদ্য সংকটের শঙ্কা দেখা দেয়। কারণ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক দেশ হলো ইউক্রেন।

এ চুক্তির মাধ্যমে আটকে থাকা ইউক্রেনের বন্দরগুলো আবার খুলে যাবে। শুধু গমই নয়, ইউক্রেনের উৎপাদিত গম এবং সূর্যমুখী তেল, বার্লি এবং ভূট্টা রপ্তানির দ্বারও খুলে গেল এই চুক্তির ফলে।

চুক্তি অনুযায়ী ইউক্রেনের তিনটি বন্দর ব্যবহার করে শস্য রপ্তানি করবে ইউক্রেন। এর মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ওডেসা বন্দরও। আশা করা হচ্ছে চুক্তি হওয়ায় রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বিরাজমান থাকলেও শস্য নিয়ে কোনো ঝামেলা হবে না।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ