মুরগির ডিম উৎপাদন বাড়ানো মানে দিনে একটির বেশি ডিম প্রাপ্তি নয়। বরং অনিয়মিত ডিম দেওয়া রোধ করে অর্থাৎ এক সপ্তাহ ডিম দিলে আরেক সপ্তাহ ডিম দেওয়া বন্ধ থাকে এটি বন্ধ করা। মাঝখানে মুরগির ভ্যাকসিন, অষুধ, থাদ্য ইত্যাদিতে খরচ হয় বহুগুণে। কিন্তু ওষুধ খরচ ছাড়াই ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়।

যখন মুরগি থেকে কাঙ্খিত পরিমান ডিম পাওয়া যাবে না তখন যে বিষয়গুলো সম্পর্কে প্রথমেই অনুসন্ধান করতে হবে তাহলো-

আলোঃ আমরা জানি মুরগির যৌনপরিপক্কতায় আসা এবং ডিম উৎপাদনের উপর আলোর প্রভাব খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত যখন দিনের দৈর্ঘ্য বেশি থাকে তখন মুরগি ডিম বেশি পাড়ে। ডিমপাড়া মুরগির জন্য দৈনিক ১৪ ঘন্টার বেশি দিনের আলো দরকার। শীতকালে মুরগির ডিম উৎপাদন কমে যাওয়ার একটি অন্যতম কারন হলো দিনের দৈর্ঘ্য কম হওয়া। তবে আধুনিক বাণিজ্যিক মুরগি খামারে কৃত্রিম আলো প্রদানের মাধ্যমে মুরগির ডিমপাড়ার জন্য আলোক ঘন্টা তৈরি করা হয়।

বাণিজ্যিক লেয়ার মুরগির খামারে একজন অভিজ্ঞ ও সচেতন খামারী মুরগির ঘরে কৃত্রিম আলোক ঘন্টা তৈরি করে ডিম উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে পারেন। আমাদের backyard পোল্ট্রির ক্ষেত্রে বিষয়টি খুব সহজে চোখে পড়ে কারন কোন আলোক কর্মসূচী থাকে না বিধায় শীতের শুরু থেকে বিশেষ করে অক্টোবর-নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত ডিমপাড়া কমে যায় এবং এরপর থেকে আবার ডিমপাড়া শুরু করে।

আরোও পড়ুন: মুরগির কৃমির লক্ষণ ও ঔষধ খাওয়ানোর নিয়ম

বাণিজ্যিক খামারে মুরগির ডিম উৎপাদনের হার কমে গেলে বা নিদিষ্ট সময়ের আগে বা পরে ডিম পাড়া শুরু করলে মুরগি পালনকারী/খামারীকে এই সাধারণ বিষয়টি সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। মুরগিকে বলা হয় long-season breeders কারন যখন দিনের দৈর্ঘ্য বেশি থাকে তখন উৎপাদনে আসে। পুলেট যখন ডিমপাড়া শুরু করে তখন আস্তে আস্তে আলোক ঘন্টা বাড়াতে হবে। সারা বছর ধরে ডিম উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে আলোক প্রদান কর্মসূচী প্রণয়ন করতে হবে।

উল্লেখ্য, অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।ওষুধ খরচ ছাড়াই ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি কৌশল ভেটসবিডি থেকে নেওয়া হয়েছে।