অ্যাপের মাধ্যমে বোরো ধান

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: চলতি বছর অ্যাপের মাধ্যমে বোরো ধান, সিদ্ধ চাল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বছর ১৬ উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে আমন ধান ও সিদ্ধ চাল সংগ্রহে সফলতা আসায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (১১ মার্চ, ২০২০) সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আমন ধান সংগ্রহ, সিদ্ধ ও আতপ চাল সংগ্রহের সমাপ্ত উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন মজুমদার ও খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। এসময়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছরই অতীতের চেয়ে সর্বোচ্চ পরিমাণ আমন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ সংগ্রহ করা হয়েছে। এমন সফলতা মিলেছে খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী।

অ্যাপের মাধ্যমে ধান ও চাল সংগ্রহের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম জানান, চলতি বছর সব জেলার একটি করে উপজেলায় পাইলট ভিত্তিতে অ্যাপের মাধ্যমে বোরো ধান কেনা হবে।

এসময়ে তিনি জানান, আর যে ১৬ উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে আমন ধান কেনা হয়েছে সেসব উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার পাশাপাশি মিলারদের কাছ থেকে বোরো চালও কেনা হবে।

বোরো ধান সংগ্রহের তথ্য তুলে ধরে খাদ্যমন্ত্রী জানান, এবার ৬ লাখ ২৬ হাজার ৯৯১ মেট্রিকটন আমন ধান, ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৮ টন সিদ্ধ চাল এবং ৪৩ হাজার ৯০০ টন আতপ আমন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এ উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে কৃষকের তালিকা সংগ্রহ করা হয়।

তিনি বলেন, এবারই প্রথম ৬ লাখ ২৭ হাজার টন আমন ধান সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রকৃত কৃষক যেন ধান দিতে পারে এবং কোনো মধ্যস্বত্বভোগী যেন এর মধ্যে আসতে না পারে সেজন্য লটারি করে কৃষক নির্বাচন করা হয়।

অ্যাপের মাধ্যমে ধান দেয়ার পদ্ধতি: কৃষকের অ্যাপ এর মাধ্যমে ধান দেয়া যাবে। শুরুতে কৃষককে তার স্মার্ট মোবাইল ফোনে ‘কৃষকের অ্যাপ’ নামে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে। এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।

তবে কৃষকের স্মার্টফোন না থাকলে ইউনিয়ন তথ্যসেবাকেন্দ্রে গিয়ে  এ সেবা নেয়া যাবে।

ধানের নাম, জমির পরিমাণ, কী পরিমাণ ধান বিক্রি করতে চান- এসব তথ্য জানিয়ে ওই অ্যাপের মাধ্যমে সরকারের কাছে ধান বিক্রির আবেদন করতে হবে কৃষককে।

এরপর নিবন্ধন, বরাদ্দের আদেশ ও দাম পরিশোধের সনদসহ তথ্য এবং ধান বিক্রির জন্য কবে কোন গুদামে যেতে হবে, সেসব তথ্য এসএমএসে কৃষককে জানিয়ে দেওয়া হবে। আবেদনকারী বেশি হলে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করে ধান কেনা হবে।

অনেক সময় কৃষকরা ফসলের নায্যমূল্য পান না উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম সরাসরি প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র চাষীদের কাছ থেকে ধান কিনব। লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করে যাদের কাছ থেকে আমন কেনা হয়েছে বোরো কেনার সময় তাদের নাম দেয়া হবে না।

আগামী বোরো মৌসুমে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করতে পারব এবং এর ইতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়বে যোগ করেন কৃষিমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: চলতি বছরে সর্বোচ্চ আমন ধান সংগ্রহের রেকর্ড

অ্যাপের মাধ্যমে বোরো ধান, সিদ্ধ চাল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত শিরোনামের সংবাদ তৈরিতে বিডি নিউজ থেকে তথ্য সহযোগিতা ও ছবি পিআইডি থেকে নেয়া হয়েছে।