আউশে প্রণোদানা ৪০ কোটি টাকা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার৩৪.কম: চলতি মৌসুমে আউশে প্রণোদানা ৪০ কোটি টাকার কৃষি উপকরণ পাচ্ছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা। ৬৪টি জেলায় ৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ২ শত ৭২৬ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক আউশে প্রণোদানা ৪০ কোটি টাকার কৃষি  উপকরণ পাবেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে খরিপ-১/২০১৯-২০২০ মৌসুমের কৃষি প্রণোদনা প্রদান কার্যক্রম উপলক্ষে আয়োজিত প্রেসব্রিফিং এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান খরিপ-১ মৌসুমে উফশী আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬৪টি জেলায় ৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ২ শত ৭২৬ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ৪০ কোটি ১৮ লক্ষ ২০ হাজার ৭ শত ৫০ টাকার বীজ ডিএপি, এমওপি সার, পরিবহন ও আনুসংগিক ব্যয় প্রদান করা হচ্ছে।

সবোর্চ্চ ১ বিঘা জমির জন্য রয়েছে মোট ৮ শত ৭৫ টাকার প্রণোদনা।

কৃষিমন্ত্রী জানান, দেশের সকল মানুষের জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে শস্য বহুমূখীকরণ, উন্নত ও আধুনিক কলাকৌশল অবলম্বন, বিভিন্ন ফসলের উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড জাত প্রতিস্থাপন জরুরী।

তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অভিযোজনযোগ্য প্রতিকূলতাসহিষ্ণু বিভিন্ন ফসল ও ফসলের জাত আবাদ সম্প্রসারণ করা অপরিহার্য।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কৃষি মন্ত্রণালয় উফশী আউশ ফসল চাষের জন্য দেশের সকল জেলাসমূহের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ, সার, পরিবহন ব্যয় ও আনুস্ংগিক সহায়তা প্রদানের জন্য প্রণোদনা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান খরিপ-১মৌসুমে উফশী আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬৪টি জেলায় ৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ২ শত ৭২৬ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ৪০ কোটি ১৮ লক্ষ ২০ হাজার ৭ শত ৫০ টাকার বীজ ডিএপি, এমওপি সার, পরিবহন ও আনুসংগিক ব্যয় প্রদান করা হচ্ছে।

আউশে প্রণোদানা ৪০ কোটি টাকার মধ্যে সবোর্চ্চ ১ বিঘা জমির জন্য রয়েছে মোট ৮ শত ৭৫ টাকার প্রণোদনা।

এ কর্মসূচিতে মোট ৪ লাখ ৫৯ হাজার ২শত ২৬ বিঘা জমিতে উফশী আউশ চাষ করা সম্ভব হবে। এতে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪শত ৫২ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের সম্ভবনা রয়েছে যার বাজার দর ৫ শত ৭৮ কোটি ৮৭ লাখ ৫ শত ৪০ টাকা।

আরও পড়ুন: কৃষকের মাঝে উন্নত বীজ সরবরাহের আহ্বান
মাছের খামার করতে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক

এ থেকে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬ শত ৪৩ মেট্রিক টন খড় উৎপাদন হবে যার বাজার দর ২৪ কোটি ৬৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪শত ৬ টাকা। চাল ও খড় উৎপাদন বাবাদ আয় হবে ৬ শত ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৯ শত ৪৫ টাকা।

উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে এতে নীট আয় হবে ৯৮ কোটি ৩৯ লাখ ১৪ হাজার ৯ শত ৪৫টাকা। এক্ষেত্রে প্রতি ১ টাকা খরচ করে আয় হবে ১.২ টাকা। অর্থাৎ ব্যয় অনুপাত আয় ১: ১.২।

প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিরুজামান, অতিরিক্ত সচিব বৃন্দ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ব্ধতন র্কমকর্তাবৃন্দ।