সিকৃবি প্রতিনিধি, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আকস্মিক বন্যা মোকাবিলা করে বোরো ধান উৎপাদনের কলা কৌশল নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সুনামগঞ্জের পরমানু কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউটের অফিসে গত ১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালার মূল গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম।

মূল প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আকস্মিক বন্যা বা পাহাড়ি ঢল জনিত বন্যার সংঘটনের সময় পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক এগিয়ে এসেছে। এখন মার্চের শেষে বা এপ্রিলের প্রথম দিকে এমন সময়ে বন্যা আসছে যখন বোরো ধানের কেবল শীর্ষ বের হয়।

সুতারাং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সম্ভাব্য বন্যার তারিখ ধরে জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহকে স্বল্প মেয়াদী বিনা ধান-১৪ কিংবা ব্রিধান-২৮ রোপন করতে পারলে সহজেই আকস্মিক বন্যায় ফসল হানি এড়ানো সম্ভব।

বাংলাদেশ  কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের চওট-ইঅজঈ, ঘঅঞচ-২ এর আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত এই গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলের ভিক্তিতে অন্যান্য যে কৌশলের মাধ্যমে পাড়ারি ঢলের বন্যাকে মোবাবিলা করা যায় সেগুলো হলো উচুঁ জমিতে দীর্ঘমেয়াদী বিধ্রান-২৯, ব্রিধান-৮১, রোপন করা যায়  কিংবা নীচু জমিতে ব্রিধান-২৮, কিংবা বিনা-১৪ রোপন করে মাত্র তিন মাসের মধ্যে ফষল ঘরে তোলা সম্ভব।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে  সুনামগঞ্জ জেলার কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বশির আহমেদ সরকার বলেন, এ ধরনের গবেষণা কাযক্রম এ অঞ্চলের কৃষকদের খুবই উপকৃত করবে। গবেষণা কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য কর্মশালায় ৩৫ জন কৃষককে সনদ প্রদান করা হয়।