অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দ্বিতীয় বৃহত্তম পাম অয়েল রফতানিকারক দেশ মালয়েশিয়া আগামী মাস অর্থ্যাৎ জুন মাস থেকে অপরিশোধিত পাম অয়েলের জন্য রফতানি কর ৮ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। একই সময়ে পাম অয়েলের রফতানি মূল্যও বাড়িয়েছে দেশটি।

গতকাল মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটা জানা যায়। এ বিষযে খবর প্রকাশ করেছে বিজনেস রেকর্ডার। এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার কমোডিটি মন্ত্রণালয় জানায়, তারা ৪-৬ শতাংশ পর্যন্ত রফতানি কর নির্ধারণের কার্যকারিতা পর্যালোচনা করছে।

জুনে রফতানির জন্য প্রতি টন পাম অয়েলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৮১৬ রিঙ্গিত ০৫ সেন (১ হাজার ৫৫২ ডলার ৬৩ সেন্ট)। মে মাসে সরবরাহের জন্য প্রতি টন মালয়েশিয়ান অপরিশোধিত পাম অয়েলের দাম ছিল ৬ হাজার ৭৫৯ রিঙ্গিত ২২ সেন।

পড়তে পারেন: মালয়েশিয়ার দিকে ঝুঁকেছে পাম অয়েল ক্রেতারা, বেড়েছে দাম

দেশটিতে অপরিশোধিত পাম অয়েলের জন্য রফতানি কর কাঠামো শুরু হয় ৩ শতাংশ থেকে। প্রতি টন পাম অয়েল ২ হাজার ২৫০ থেকে ২ হাজার ৪০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত দরে এ পরিমাণ রফতানি কর পরিশোধ করতে হয়। তবে প্রতি টন অপরিশোধিত পাম অয়েলের দর ৩ হাজার ৪৫০ রিঙ্গিত ছাড়িয়ে গেলে রফতানি কর পরিশোধ করতে হয় ৮ শতাংশ।

ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সূর্যমুখী রপ্তানি বন্ধ হয়েছে। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিকল্প খুঁজতে ‍শুরু করেছে। পাম অয়েলের দিকেই ঝুঁকতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এদিকে সূর্যমুখীর পরিবর্তে পামওয়েল আমদানি বাড়াচ্ছে ভারত।

মার্চে ভারতের পাম অয়েল আমদানি এর আগের মাসের তুলনায় ২১ শতাংশ বেড়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে রয়টার্স।

তথ্য বলছে, ইউক্রেনিয়ান সূর্যমুখী তেলের ভারতের জন্য উপযুক্ত অবলম্বন ছিল সয়াবিন তেল। কারণ অতিরিক্ত শুল্ক ও ব্যয়ে ভারতকে পাম অয়েল কিনতে হচ্ছিল। কিন্তু সয়াবিনের সবচেয়ে বড় উৎস লাতিন আমেরিকার দেশগুলোয় ভয়াবহ খরার কারণে বিপাকে পড়েছে ভারতীয় ভোজ্য তেল আমদানিকারকরা।

পড়তে পারেন: মালয়েশিয়ার দিকে ঝুঁকেছে পাম অয়েল ক্রেতারা, বেড়েছে দাম

বর্তমানে ভারতের বাজারে পাম অয়েলের চাহিদা পণ্যটির দামকে আকাশচুম্বী করে তুলছে। পণ্যটির ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য এরই মধ্যে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। গত শনিবার প্রতি টনের দাম বেড়ে ৭ হাজার ২৬৮ রিঙ্গিতে উন্নীত হয়।

মার্চে ভারত ৫ লাখ ৫০ হাজার টন পাম অয়েল আমদানি করেছে। ফেব্রুয়ারিতে আমদানির পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৭৯৪ টন। চলতি মাসেও আমদানি ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। তবে সূর্যমুখী তেল আমদানি আরো কমে যাবে। এমনটা জানিয়েছেন জি জি প্যাটেল ও নিখিল রিসার্চের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোবিন্দ ভাই প্যাটেল।

ভারত যে পরিমাণ সূর্যমুখী তেল আমদানি করে, তার ৯০ শতাংশই আসে ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরবরাহ করে ইউক্রেন। ভারত মার্চে দেশটি থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টন সূর্যমুখী তেল আমদানি করেছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ