অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বৃহত্তম পাম অয়েল উৎপাদনকারী দেশ ইন্দোনেশিয়ায় বিভিন্ন রফতানি শর্তের কারণে ক্রেতারা মালয়েশিয়ার দিকে ঝুঁকেছে। ফলে রফতানিতে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি এসেছে। সেইসাথে বেড়েছে পাম ওয়েলের দাম।

ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানির পরিমাণ ৮ শতাংশ বেড়ে ১২ লাখ ৫০ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বাজার পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানগুলো।

ফিউচারস মার্কেটে বেড়েছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম। এ নিয়ে টানা তিন কার্যদিবসে পণ্যটির দাম বাড়ল। এর আগে পণ্যটির বাজারদরে সর্বোচ্চ দরপতন ঘটেছিল বলে খবর প্রকাশ করেছে বিজনেস রেকর্ডার।

পড়তে পারেন: ইন্দোনেশিয়ায় ৪ কোটি টন পাম ওয়েল উৎপাদন সম্ভাবনা

বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর পরই আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ১০০ ডলারের গণ্ডি ছাড়ায়। মূল্যবৃদ্ধির এ ধারা এখনো অব্যাহত। এছাড়া পাম অয়েলের অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী তেলের দামও সম্প্রতি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। এ কারণেই মূলত পণ্যটির বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে।

সর্বশেষ কার্যদিবসে বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে জুন সরবরাহ চুক্তিতে মালয়েশিয়ান বাজার আদর্শ পাম অয়েলের দাম ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ বা ২৮৮ রিঙ্গিত বেড়ে ৬ হাজার ১৯৫ রিঙ্গিতে (১ হাজার ৪৬৭ ডলার ৩১ সেন্ট) উন্নীত হয়েছে।

পড়তে পারেন: বেড়েছে পাম অয়েলের দাম

মুম্বাইভিত্তিক উদ্ভিজ্জ তেলের ব্রোকার সানভিন গ্রুপের গবেষণা প্রধান অনিলকুমার বাগানি বলেন, বর্তমানে ইউক্রেন থেকে সূর্যমুখী তেল রফতানি বন্ধ। অন্যদিকে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েতে উৎপাদন ঘাটতিতে সংকুচিত হয়ে এসেছে সয়াবিন তেল সরবরাহ। এ কারণে বিকল্প হিসেবে বাজারে পাম অয়েলের চাহিদা আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছে। বিষয়টিই দাম বাড়াতে সহায়তা করছে।

সর্বশেষ কার্যদিবসে ডালিয়ান ফিউচারস এক্সচেঞ্জে ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে পাম অয়েল কেনাবেচা বেড়েছে ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। অথচ সয়াবিন তেলের চুক্তি কমেছে দশমিক ৬ শতাংশ।

পড়তে পারেন: ১৯০ টাকার সয়াবিন ১১০ টাকায় দিচ্ছে টিসিবি

এদিকে গত মাসের শেষ নাগাদ মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের মজুদ ১০ মাসের সর্বনিম্নে নেমেছে। উৎপাদন কমে আসা ও রফতানির পরিমাণ বাড়ায় মজুদে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে পাম অয়েল মজুদ ১১ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ১৩ লাখ ৮০ হাজার টনে নেমেছে, যা ২০২১ সালের মার্চের পর সর্বনিম্ন।

দেশটিতে এক মাসের ব্যবধানে পাম অয়েল উৎপাদন ৫ শতাংশ কমেছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৯০ হাজার টনে, এটিও ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ