নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ঠাকুরগাঁওয়ে বাড়ছে আগাম আলুর চাষ। লাভের আশায় আলু চাষ করলেও শেষপর্যন্ত বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।

আগাম আলুতে বেশ ভালো ফলন হয়েছে কিন্তু বাজারে কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না আলুচাষিরা। এতে আগাম আলুচাষিরা লোকসানের মুখে পড়েছেন।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পারিয়া গ্রামের আলুচাষি খসিয়র রহমান বলেন, চার বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করেছি। আলু আবাদে বীজ, সার, কীটনাশক, সেচ, হালচাষ, মজুরি মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। তবে লাভ হবে বলে মনে হচ্ছে না।

ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ২৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার ৫৪৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় আট হাজার হেক্টর জমিতে চাষিরা স্বল্পমেয়াদি আগাম আলু আবাদ করেছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই সেসব আলু তুলতে শুরু করেছেন।

ঠাকুরগাঁওয়ের সদর, বালিয়াডাঙ্গী ও রানীশংকৈল উপজেলার কয়েকজন আলুচাষির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত মৌসুমে তাঁরা খেত থেকেই প্রতি কেজি আগাম জাতের গ্যানুলা ও ডায়মন্ড আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর এ বছর ওই আলু মাত্র ৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চাষিরা জানান, এক বিঘা জমিতে আগাম আলু উৎপাদন করতে সাধারণত কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকা খরচ হয়। গড়ে এক বিঘা জমিতে ৭৫ মণ আলু উৎপাদন হয়। ওই হিসাবে প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ পড়ে ১০ টাকার কিছুটা বেশি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হিমাগারগুলোতে গত মৌসুমের আলুর মজুত শেষ হয়নি। তাই কৃষকেরা আগাম আলু বিক্রি করে নায্য মূল্য পাচ্ছেন না।

জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু হোসেন বলেন, গত কয়েক বছরে নতুন আলু এত কম দামে বিক্রি হয়নি। এর আগের বছরেও কৃষকেরা নতুন আলুতে ভালো দাম পেয়েছিলেন। বাজারে এখনো হিমাগারে রাখা গত মৌসুমের আলু বিক্রি হচ্ছে। তাই বাজারে নতুন আলুর চাহিদা কম।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ